Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউনানকে বলা হয় চীনের পর্যটন স্বর্গরাজ্য : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:২৭ পিএম

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের ইউনান প্রদেশের আয়তন ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার বর্গ কি.মি. যা বাংলাদেশের প্রায় তিন গুণ, কিন্তু জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি যা বাংলাদেশের তিন ভাগের এক ভাগ। মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কারণে প্রদেশটি সারাবিশ্বের ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যেখানে রয়েছে চিত্তাকর্ষক প্রাকৃতিক দৃশ্য, আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক নিদর্শনাবলী এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য।

তিনি বলেন, প্রাচীন দক্ষিণ সিল্ক রোডের একটি অন্তর্বর্তী অঞ্চল হিসাবে ইউনান এমন একটি সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি করেছে যা হাজার বছরের বাণিজ্য এবং বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয়েছে। ইউনানকে বলা হয় চায়ের মাতৃভূমি। এখানে রয়েছে ২৪০টিরও বেশি প্রাকৃতিক গরম পানির ঝরণা। হাজারেরও অধিক ফুলের চাষের মাধ্যমে এখানে গড়ে উঠেছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ফুলের বাজার। পর্যটকদের আকৃষ্ট করার সকল উপাদানই এখানে বিদ্যমান। সেজন্য চীনের পর্যটন স্বর্গরাজ্য বলা হয় ইউনানকে।

প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর পূর্বাচলস্থ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে Foreign Office of the People's Government of Yunnan Province, China এবং Yunnan Commercial Representative Office, Dhaka, Bangladesh আয়োজিত 'Colorful Yunnan' শীর্ষক ইভেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত H.E. Li Jiming। অনলাইনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পিপলস্ গভর্নমেন্ট অব ইউনান এর গভর্ণর H.E. Wang Yubo এবং বাংলাদেশ দূতাবাস চীনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা করেন Yunnan Commercial Representative Office, Bangladesh এর পরিচালক Li Xiao।

প্রধান অতিথি বলেন, চীন বাংলাদেশ এর অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী, গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অংশীদার। ভৌগোলিকভাবে নিকটবর্তী ও সাদৃশ্য থাকার কারণে চীনের ইউনানের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও ব্যবসা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুশৃঙ্খল জাতি হওয়ায় চীনারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। চীন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারলে আমরাও দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারবো। বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। চীনের ইউনান প্রদেশ নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রতিমন্ত্রী পরে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে 'পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ' আয়োজিত 'বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই লাইব্রেরি উন্নয়ন' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ