গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সরকারের পতন ঘটিয়ে শাওন হত্যার’ জবাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুন্সীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদুল ইসলাম শাওনের জানাজার আগে বিএনপি মহাসচিব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, শাওনের রক্ত আমাদেরকে আজকে নতুন করে শপথ নেওয়াচ্ছে যে, আমরা যেকোনো মূল্যে এই ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে এই শাওনের যে আত্মত্যাগ সেই আত্মত্যাগের আমরা প্রতিদান দেবো। আমরা শপথ নেবো- শাওন যে গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছে, মানুষের অধিকারের জন্য প্রাণ দিয়েছে, ভোটাধিকারের জন্য প্রাণ দিয়েছে তাকে আদায় করার জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের সকল মানুষ এই কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো, তবেই হবে শাওনের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা নিবেদন। আসুন আমরা এখন সবাই তার রুহের মাগফেরাত কামনা করবো আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন।
গত বুধবার মুন্সিগঞ্জ সদরের মুক্তারপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর ছিলেন যুবদলের নেতা শহীদুল ইসলাম শাওন। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্য ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে শাওনের কফিন নয়াপল্টনে নিয়ে আসা হয়। দলের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলীয় পতাকা দিয়ে ঢাকা তার কফিনে পুস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান।
নামাজে জানাজায় বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, রুহুল কবির রিজভী, আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কামরুজ্জামান রতন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আজিজুল বারী হেলাল, ডাঃ রফিকুল ইসলাম, মীর সরফত আলী সপু, মীর আলী নেওয়াজ, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, মৎস্যজীবী দলের মোঃ আব্দুর রহিম, যুব দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, ওলামা দলের কাজী মোঃ সেলিম রেজা, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেয়। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক। জানাজা শেষে শাওনের লাশ দাফন করতে মুন্সিগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। শাওনের কফিন নয়াপল্টনের সড়কে নেতা-কর্মীরা মিছিল করে এগিয়ে দেয়। পরে কর্মীরা মশাল মিছিল বের করে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।