পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
তিন দশক পর সামনে এলো নেপচুনের নতুন ছবি। সৌরজগতের শেষ এ গ্রহটির একগুচ্ছ ছবি তুলে পাঠিয়েছে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। এসব ছবি এতটা সুস্পষ্ট ও ঝকঝকে যে, গত ৩০ বছরে আর পাওয়া যায়নি। জেমস ওয়েবের নতুন এসব ছবি নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌত‚হল তৈরি হয়েছে।
পৃথিবী থেকে নেপচুনের দূরত্ব ৪৩০ কোটি কিলোমিটার। পুরু বরফের চাদরে মোড়া এ গ্রহটিতে নতুন করে আলোকপাত করেছে জেমস ওয়েব। টেলিস্কোপের ছবিগুলোতে নেপচুনের বলয় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। নেপচুনের বলয় সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ অনেক দিনের। কিন্তু উপযুক্ত প্রযুক্তির অভাবে এত দূরের গ্রহের চার দিকের বলয় ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়নি।
নেপচুন গ্রহের ছবি শেষবার দেখা গিয়েছিল ১৯৮৯ সালে। তখন নাসার ভয়েজার ২ মহাকাশযানের তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছিল নেপচুনের বলয়। তারপর থেকে আর এ বলয়ের দেখা পাননি গবেষকরা। জেমস ওয়েবের ছবি ঘিরে তাই তাদের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তিন দশক আগে নেপচুনের বলয়ের যে ছবি দেখা গিয়েছিল, তা ছিল খুবই অস্পষ্ট। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ অনেক স্পষ্ট ছবি পাঠিয়েছে। নেপচুনের বলয় নিয়ে গবেষণাকে এ ছবি অনেক এগিয়ে দেবে।
সূর্যের চেয়ে পৃথিবী যত দূরে, নেপচুনের দূরত্ব তার তিনগুণ। সৌরজগতের এক কোণে অন্ধকারময় অঞ্চলে আপন কক্ষপথে ঘোরে এই গ্রহ। বিজ্ঞানীরা জানান, সূর্যের আলো সেখানে খুবই কম। নেপচুনের ভরদুপুর পৃথিবীর গোধূলির সমান। নেপচুনকে অতিকায় তুষারের গোলা (আইস জায়েন্ট) বলেন কেউ কেউ। মহাকাশ থেকে এ গ্রহকে গাঢ় বেগুনি রঙের দেখায়। সেই সঙ্গে গ্রহের গায়ে এক প্রকার নীলচে আভাও দেখা যায়। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।