মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার ভাষায় ‘মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য’ নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশনার ফলে যারা কোন একসময় রুশ সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন বা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ভবিষ্যতে যে কোন প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর কাজে লাগবার জন্য, সেই সব রিজার্ভিস্টদের এখন যুদ্ধ করার জন্য ডেকে পাঠানো হবে।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মাতৃভূমি, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা আর জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করার তিনি সৈন্য সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ (বুধবার) থেকেই সৈন্য সমাবেশ শুরু হয়ে যাবে। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার অনেক যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তুত আছে। রাশিয়ার অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্যও তিনি বাড়তি তহবিল বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন।
পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি হুমকি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা যদি হুমকির মধ্যে পড়ে, রাশিয়া এবং এর জনগণকে রক্ষা করার জন্য আমরা সবরকমের ব্যবস্থা নেবো। এটা কোন ফাঁকা বুলি নয়। যারা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চায়, তাদের জানা উচিত যে, পাল্টা বাতাস তাদের দিকেও যেতে পারে।’
তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা দেশগুলো প্রমাণ করেছে যে, তারা চায় না রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি থাকুক। ডনবাসে যারা লড়াই করছে, তাদের আইনি স্বীকৃতি দেয়ারও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিন আরও বলেছেন, ইউক্রেনের যে এলাকাগুলো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দারা নিও-নাৎসি রাজত্বে যেতে চায় না। সেখানে যে গণভোটের আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গে পুতিন বলেছেন, আমরা তাদের সহায়তায় রয়েছি।
ইউক্রেনের যে এলাকাগুলো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা এই সপ্তাহের মধ্যেই রাশিয়ায় যোগ দেয়া প্রশ্নে জরুরি গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ফ্রান্স জানিয়েছে, তারা এরকম লজ্জাকর গণভোটের ফলাফল কখনোই মেনে নেবে না। নেটো সামরিক জোট জানিয়েছে, এ ধরনের পরিকল্পনা যুদ্ধকে আরও উস্কে দেবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা সতর্ক করেছে যে মস্কোর আক্রমণকে ন্যায্যতা দিতে গণভোটে কারচুপি করা হবে। ‘ইউক্রেনের কোনও কথিতভাবে সংযুক্ত অংশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনই রাশিয়ার দাবিকে স্বীকৃতি দেবে না’, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন। ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইউক্রেনের জন্য সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন যাকে তিনি যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি বলে অভিহিত করেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘গণভোটের কোনো বৈধতা নেই।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, ব্লক এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো গণভোটের ফলাফলকে স্বীকৃতি দেবে না এবং তারা অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ তার বক্তৃতায় বলেছেন, ‘রাশিয়াকে এখন বুঝতে হবে যে বোমা হামলা ও দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে গণভোট হলেও তারা সামরিকভাবে তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে পারে না।’ সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।