বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
মীর আব্দুল আলীম : মিয়ানমার কাউকেই মানছে না। দেশে দেশে যতই প্রতিবাদ হোক; যতই বলা হোক “মর্মঘাতী বিনাশ, থামাও” ততই রোহিঙ্গা মুসলিম নির্মূল চলছেই। নৃশংসতার মাত্রা বাড়ছেই। জাতিসংঘকেও তারা থোরাই কেয়ার করছে। কফি আনানের সফরের মধ্যেও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখে। গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ দেশ থেকে বিতাড়নÑ সবই চালানো হচ্ছে। এভাবে চললে ধর্মীয় স্বার্থে, ইসলামের স্বার্থে মুসলমানদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বিশ্ব মুসলমানদের জাগতে হবে। ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না। মিনমিনে প্রতিবাদে মিয়ানমার থামবে না। সারা বিশ্বে এক সাথে আওয়াজ তুলতে হবে। সে সঙ্গে বিশ্ব বিবেককেও জাগ্রত হতে হবে। মিয়ানমারের ওপর এখনই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। মানুষ হত্যার নীতি, মানব নির্যাতন নীতি কোনো দেশেরই মেনে নেয়া ঠিক না। বিশ্ব মোড়লরা ধমক দিলে সারা দুনিয়ায় কিনা হয়? মোড়ল দেশগুলোর প্রতি আমাদের আহ্বান, আরাকানে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে সতর্ক করুন। আমরা মনে করি এবং বিশ্বাস করি আপনাদের একটি ধমকেই এ নির্যাতন বন্ধ হতে বাধ্য। আপনাদের তাই করা উচিত। মনে রাখবেন, ‘সবার ওপর মানুষ সত্য তাহার ওপর নাই’। মানব জাতির ওপর চরম নির্যাতন হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির ওপর আঘাত হানা হচ্ছে। এ আঘাত কারও সওয়া ঠিক নয়।
নিরীহ, অসহায়, নিরস্ত্র রোহিঙ্গারা এই বর্বরতার শিকার হয়ে নিষ্পেষণের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছেছে। সাংবিধানিক, সামাজিক, মৌলিক অধিকার, ভোটাধিকার দূরে থাক, নাগরিক অধিকারটুকুও নেই রোহিঙ্গা নামক জাতিসত্তার জন্মভূমি মিয়ানমারে। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এমন বীভৎস হত্যাকা- চালানোর ঘটনা বিশ্ববাসীকে হতবাক করে বৈকি! বিভিন্ন দেশ এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। তাই প্রতিবাদ আরো তীব্র হতে হবে। সারা মুসলিম দুনিয়াকে নিষ্ঠুর মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে। মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর যেভাবে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন-অত্যাচার চলছে তাতে করে সারা দুনিয়ার মুসলমানদের আর চুপ করে থাকা ঠিক নয়। মুসলমানদের অগ্রযাত্রায় ভীত হয়ে অন্য ধর্মাবলম্বীরা নানা সময় মুসলমানদের খাটো করার পথ বেছে নেয়। অনেকে আবার মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার স্বপ্নও দেখে। মিয়ানমারে এভাবে বছরের পর বছর রোহিঙ্গা নিধন তারই অংশ নয় তো?
রাখাইন রাজ্যে আনুমানিক ১০ লাখ রোহিঙ্গার বাস। জাতিসংঘের ভাষায় এরা বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। বিশ্ব সবচেয়ে নির্যাতিত গোষ্ঠী স্বীকার করছে কিন্তু এ নির্যাতন বন্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মিয়ানমার সরকার বংশ পরম্পরায় হাজার বছর ধরে সেখানে বসবাস করে আসা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পর্যন্ত প্রদান করে না। এটা বার্মানীতি! মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা শব্দটি পর্যন্ত ব্যবহার করতে রাজি নয়। তারা এ সম্প্রদায়ের মানুষদের অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করে। বহু মানুষই মিয়ানমারে তাদের পূর্বপুরুষদের শিকড়- সেটা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না মিয়ানমার সরকারের। তারা যা বলছে তা-ই বহাল রাখছে। কোনো প্রমাণ, কোনো দলিল-দস্তাবেদ বিষয় নয়। এমন নীতি কি প্রমাণ করে না যে, দেশটির সরকার আর ননমুসলিম গোষ্ঠী মুসলমান নির্মূল চাইছে?
আমরা দীর্ঘদিন ধরেই দেখে আসছি, রোহিঙ্গা মুসলিমদের জাতিগতভাবে নির্মূলের চেষ্টা করছে মিয়ানমার। দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী পুরুষদের হত্যা করছে, শিশুদের জবাই করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে, বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করছে এবং এদের নদী পার হয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করছে। এদিকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সংকট সমাধানে দেশটির নেত্রী অং সান সুচির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার। এ সংকট থেকে উত্তরণে যেভাবে মোকাবিলা করছে সুচির সরকার তাতে দেশে দেশে উদ্বেগ ক্রমাগত বাড়ছে। পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, মিসরসহ বিভিন্ন দেশ।
১৯৭৮ সাল থেকে বহু রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং ২০১৬ সালের দাঙ্গার পর আবার নতুন করে অনুপ্রবেশ বাড়ছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, অর্ধ শতাব্দীর সামরিক স্বৈরশাসনের পর যখন মিয়ানমারে গণতন্ত্রায়নের সুবাতাস বইছে, গণতন্ত্রের সংগ্রামে জয়ী হয়ে নির্বাচিত দেশটির জনপ্রিয় নেত্রী অং সান সুচির দল এখন ক্ষমতায়, আর সে সময়ই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বদলে আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। রোহিঙ্গা মুসলিম নির্যাতন মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। এ নির্যাতনে নোবেল পাওয়া সুচির অংশগ্রহণের বিষয়টি কি প্রমাণ করে না? আমরা মনে করি সুচি চাইলেই মিয়ানমারে সব হবে। রোহিঙ্গা নিধন প্রক্রিয়াও বন্ধ হবে। তবে কি সুচি মুসলমানদের অশান্তিই চাইছেন। তার চোখের সামনে, রোহিঙ্গা নিধন চলছে। এ নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
মিয়ানমারে এমন বীভৎস হত্যাকা- চালানোর ঘটনা বিশ্ববাসীকে হতবাক করে না? মানবতাবাদী গৌতম বুদ্ধের অনুসারী ‘জীবে হত্যা মহাপাপ’ কিংবা ‘অহিংসা পরম ধর্ম’ বলে যতই ধর্মবোধে লালিত হোক, রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত। ‘ক্লিন রোহিঙ্গা অপারেশন’-এর নামে রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সেনা, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা সহ্য করার মতো নয়। হত্যা, ধরপাকড়, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওসহ এমন কোনো ঘটনা নেই, যা ঘটছে না। মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধ তারা দিনের পর দিন ঘটিয়ে চলেছে সেই ১৯৭৮ সাল থেকে। রোহিঙ্গাদের জাতিগত স্বীকৃতি না দিয়ে আন্তর্জাতিক সকল আইনকানুন লঙ্ঘন করে চলছে সেদেশের সেনাবাহিনী। সর্বশেষ নির্বাচনে নোবেল শান্তিজয়ী নেত্রী অং সান সুচি ও তার দল ক্ষমতায় আসার পরও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। তার ক্ষমতা গ্রহণের পর রাখাইন বিষয়ে কমিশনও গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনের প্রধান জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। তিনি একাধিকবার ওই এলাকা পরিদর্শনও করেছেন। রোহিঙ্গাদের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সব সম্প্রদায়ের সহিংসতা পরিহারের কথা বলেছেন। কিন্তু তার কথায় কেউ কর্ণপাত করছে বলে মনে হয় না।
প্রশ্ন হলো, জাতিসংঘ কী করছে? সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের ওপর যথাযথ চাপ প্রয়োগ করছে না জাতিসংঘ। তারা গণহত্যা বন্ধে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও যেমন নিশ্চুপ, তেমনি ওআইসি’র পক্ষ থেকেও কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যাচ্ছে না। বরং তাদের কর্মকা- এই ধারণা দেয় যে, তারা মিয়ানমারের পক্ষে কাজ করছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও কেউ কিছু বলছেন না। বরং জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়ে এমন পরামর্শও দিচ্ছে যে বাংলাদেশ যেন নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। আর মিয়ানমারকে সহিংসতা বন্ধের কোনো চাপ না দিয়ে বলছে, মিয়ানমার সরকার যেন সেখানে যা কিছু করে তা যেন মানবাধিকার রক্ষা করেই করে। বিষয়টি কী দাঁড়ায়? তাদের অবস্থান মিয়ানমার সরকারকে সমর্থনের শামিল নয় কি? ওই যে বলেছি, তারা (?) চাইলেই সব হবে। কিন্তু চাইতে হবে। তা না হলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভাগ্যে হত্যা, নির্যাতনই শেষ সম্বল হবে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট নতুন নয়। ইতিহাস সাক্ষ্য যে, ১৭৮৪ সালে বর্মীদের আরাকান দখলের পূর্বে সুদীর্ঘ ৩৫০ বছর পর্যন্ত আরাকান রোহিঙ্গা মুসলমান কর্তৃক শাসিত হয়েছে। অথচ তারা আজ নিজ দেশে পরবাসী। আরাকানসহ বার্মাকে মুসলিম শূন্য করার লক্ষ্যে ১৯৩৭ সাল থেকে যে নির্যাতন চলছে তার একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এমনÑ ১৯৩৮ সালে সেন্ট্রাল বার্মায় ২০ হাজার মুসলমাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ব্রিটিশরা আরাকান ত্যাগ করলে এবং জাপান আরাকান দখলে নেওয়ার পূর্বে স্বল্প সময়ে আরাকানকে ল-ভ- করে দেওয়া হয়। এ সময় কমপক্ষে এক লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হয় এবং কয়েক লাখ দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়। ১৯৪৮ সালে ‘এথনিক ক্লিনজিং প্রোগ্রাম’ এর আওতায় প্রায় ৫০ হাজার জনকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বলপূর্বক প্রেরণ করা হয়। ১৯৭০ সানে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করার নামে আরাকানে অনেকবার তল্লাশির নামে আরাকানী যুবক-যুবতীদেরকে চরমভাবে নির্যাতন করা হয়। ১৯৭৮ সালের ড্রাগন অপারেশনের মাধ্যমে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা ও প্রায় ৩ লাখকে বাংলাদেশে বিতাড়ন করা হয়। ১৯৯১-৯৭ সালের মধ্যে প্রায় ২ লাখ মুসলিমকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ অনেক উদারতা দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। কিন্তু এর ফলে এ দেশে দীর্ঘমেয়াদি নানা ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যেখানে কোনো লক্ষণই নেই, সেখানে বাংলাদেশ নতুন করে রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়ে নিজেই সমস্যা পড়বে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলে মিয়ানমারে রাখাইন প্রদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করার পরিকল্পনাই সফল হবে। মিয়ানমারের এ পরিকল্পনা সফল হতে দিলে বাংলাদেশের সমূহ ক্ষতির কারণ হবে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি মানবিক এবং দেওয়াও উচিত, দিচ্ছেও। আর এ সুযোগটিই নিচ্ছে মিয়ানমার সরকার। এইচআরডাব্লিউ বলছে, ‘বাংলাদেশের উচিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রহণ করা ও তাদের সুরক্ষা দেওয়া।’ এমন উচিতটা বুঝলেও এইচআরডাব্লিউ মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে সুস্পষ্ট কোনো আহ্বান জানায়নি। বরং তারা তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, মিয়ানমারে সহিংসতার অর্থ হলো বাড়ি ফিরে যাওয়ার আর কোনো উপায় নেই। বিষয়টি মিয়ানমার সরকারের কর্মকা-কেই সমর্থন করে বৈকি। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা উচিত ছিল। তা তারা করেনি। তাদের এমন মৌন সমর্থনের ফলে মিয়ানমার সরকারের বোধোদয় হবে না কখনই।
প্রশ্ন হলো, রোহিঙ্গাদের নিয়ে বর্তমান সংকটের সমাধান কীভাবে হতে পারে? মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। অতীতে অনেক দেশেই এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর আগে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে জাতিসংঘ ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সিরিয়া ও ইরাকসহ বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। এখন মিয়ানমারের ওপর যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে সম্ভবত তাদের বোধোদয় হবে। নইলে হবে না। এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ কি আদৌ হবে? যদি না হয় বিশ্ব মুসলিমদেরই জাগতে হবে। সারা বিশ্বে আওয়াজ তুলতে হবে যাতে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। আর এটাই বোধ করি সঠিক সমাধানের পথ।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।