Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লেবাননের সমুদ্র সীমা থেকে গ্যাস নিতে জোর প্রস্তুতি ইসরায়েলের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:২৪ পিএম

হিজবুল্লাহের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই লেবাননের সীমানায় ভূমধ্যসাগরের বিতর্কিত গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস নিতে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরায়েলের জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্ক। উত্তোলন করা এ গ্যাস ইউরোপে রফতানি করলে পশ্চিমাদের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক অনন্য উঁচ্চতায় যাবে দেশটির।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবেশী দেশ লেবাননের কারিশ সমুদ্রের গভীরে অংশে নোঙ্গর ফেলা হয়েছে এবং প্রাকৃতিক গ্যাস স্থানান্তরের পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা করা হবে। আগামী মঙ্গলবার লন্ডনের তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনার্জিয়ান কার্যক্রম শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কোম্পানিটি বলেছে, কারিশ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রথম গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
২০১৩ সালে তারিন গ্যাসক্ষেত্রের পাশাপাশি কারিশ ছোট গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার হয়। এ খনি থেকে দুই থেকে তিন কিউবিক ফুট প্রাকৃতিক গ্যাস ও ৪৪ মিলিয়ন ব্যারেল লিকুইড তোলার ধারণা করা হয়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পর বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট সমাধানে সেখান থেকে একটি অংশ দ্রুত রফতানি করা হবে।
লন্ডনের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে পশ্চিমা ও তাদের মিত্ররা স্বাগত জানাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তারা রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় দাম বাড়ার কারণে বিকল্প খুঁজছে।
এদিকে, কৌশলগতভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে লেবাননের যুদ্ধ চলছে। লেবানন দাবি করছে, কারিশ অংশের গ্যাসক্ষেত্র তাদের।
গ্রীষ্মকালে বেশ কয়েকটি ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয়। গত জুনে বইরুতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এনার্জিয়ান কোম্পানির উৎপাদন জাহাজ আসে গ্যাসক্ষেত্রে। এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় সমুদ্রের সীমানা নিয়ে ২০২০ সাল থেকে আলোচনা চলছে। তবে এতে কোনো উন্নতি হয়নি।
অন্যদিকে, এনার্জিয়ান কোম্পানির জাহাজ গ্যাসক্ষেত্র সীমানায় আসায় গত ২ জুলাই ড্রোন পাঠায় হিজবুল্লাহ। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী সেগুলো বিধ্বস্ত করে দিয়েছে।
হিজবুল্লাহ সতর্ক করে বলছে, ইসরায়েল যদি বিতর্কিত এলাকায় গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা করে তবে হামলা চালানো হবে।
হিজবুল্লাহের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, কারিশ থেকে ইসরায়েলের গ্যাস উত্তোলনে রেড লাইনের মধ্যে রয়েছে। অথচ মার্কিন মধ্যস্ততায় সমুদ্রের সীমানা বৈঠক আমরা সফল করতে চেয়েছিলাম।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখনো আলোচনার মধ্য দিয়ে আছি। তবে কারিশে আমাদের চোখ ও কামান লক্ষ্যবস্তু করে রাখা আছে। গ্যাস তোলার আগ পর্যন্ত সমাধানের চেষ্টা আছে বলেও জানান এ ধর্মীয় নেতা।
এনার্জিয়ান বলছে, ইসরায়েলের কাছ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেয়ে আমরা সমুদ্রের ভূপৃষ্টের গ্যাস উত্তোলনের ঝুঁকি নিচ্ছি। সূত্র- দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসরায়েল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ