পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) নীতির একটি অংশ হল বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে হস্তক্ষেপ করা, যা ডলারের ক্রয় বা বিক্রয়ের মাধ্যমে রুপির অস্থিরতা রোধ করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার হস্তক্ষেপ হতে পারে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের উল্লেখযোগ্য কারণ। ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৫৫৩.১১ বিলিয়ন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে রিজার্ভ ৮ বিলিয়ন কমেছে। এটা ২০২০ সালের অক্টোবরের পর এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন।
বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা রিজার্ভ হ্রাসের অন্যতম কারণ হিসাবে বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী ডলার বিক্রির মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার রুপির প্রতিরক্ষাকে দায়ী করেছে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার তথ্য মতে, ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৯২.১২ বিলিয়ন ডলার। আগস্টে আরবিআই জানায়, ৫৭৩ বিলিয়ন মূল্যের রিজার্ভ চলতি অর্থবছরের জন্য অনুমানকৃত ৯.৪ মাসের আমদানির সমতুল্য। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ এ দশ মাসে ৮৯ বিলিয়ন কমে ৫৫৩ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড মাত্রায় রয়েছে এবং চলতি হিসাবের ঘাটতি ৩.৫ শতাংশ যা গত দশ বছরে সর্বোচ্চ পৌঁছানোর পথে রয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত আমেরিকান মুদ্রার বিপরীতে ভারতীয় রুপির মূল্য ৭ শতাংশ কমেছে।
প্রধান অর্থনীতিবিদ প্রাঞ্জুল ভান্ডারি যুক্তি দেন, আমরা এখন অন্তত দুই বছরের জন্য ভারসাম্য অর্থপ্রদানের ঘাটতির মধ্যে ডুব দিতে যাচ্ছি, তবে এটি নিশ্চিতভাবে একটি বিশাল সঙ্কটের মতো পরিস্থিতি নয়। যেহেতু আমাদের প্রচুর ফরেক্স রিজার্ভ আছে। সুতরাং, এটি একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নয়।
বøুমবার্গের মতে, ভারত এবং থাইল্যান্ড সবচেয়ে উদ্বেগজনক অবস্থায় ছিল, এ বছর তাদের রিজার্ভ যথাক্রমে প্রায় ৮১ বিলিয়ন এবং ৩২ বিলিয়ন হ্রাস পেয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার, ইন্দোনেশিয়ায় ১৩ বিলিয়ন ডলার এবং মালয়েশিয়ায় ৯ বিলিয়ন ডলার কমেছে।
আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর ডি. সুব্বারাও-এর মতে, জিডিপি-র অনুপাত হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদের বর্তমান অনুপাত আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভাল। কিন্তু গত ছয় মাসে বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণের জন্য রিজার্ভ ব্যাংক প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। যদি কোনো ব্যাংক বিনিময় হার রক্ষার জন্য ডলার ব্যয় করতে থাকে তবে এর নেতিবাচক প্রভাব যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু রিজার্ভের মাত্রা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্তরে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।