Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চা শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে

| প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অনেকে চা পান করেন না। তো আবার চা’কে অনেকেই ভীষণ ভালোবাসেন। আবার অনেকের ধারণা চা নাকি গায়ের রং কালো হয়ে যায়। অনেকে আবার গ্যাস্টিকের ভয়ে চা পান থেকে বিরত থাকেন। চা’কে নিয়ে অনেকে অনেক রকম মন্তব্য করলেও চা’র মধ্যে যে উপকারিতা রয়েছে তা প্রমাণ করেছে ভেষজবিদরা। সব ধরনের চা’র মধ্যে কোনো না কোনোভাবেই শরীরের উপকার করে থাকে। তবে সবার শরীরর গ্রোথ এক রকম নয় তাই অনেক সময় শরীরের জন্য তা অনুপযুক্ত ও ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। শরীরের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া ভালো। তবে দুধ মিশ্রিত চা শরীরের জন্য সময় ও প্রয়োজনের ক্ষেত্রে হলেও রং চা’র জন্য কোনো সময় অসময় নেই। যখনই খাওয়া যায় তখনই উপকার। তবে খালি পেটে প্রতিদিন সকালে এক টুকরো আদা মিশিয়ে খেতে পারলে অনেক উপকার পাওয়া যায় বলে ভেষজবিদরা জানান। এছাড়া রং চা যদি রোটিন করে প্রতিনিয়ত খাওয়া যায় তাহলেও ভেষজবিদের গবেষণা অনুযায়ী বহু গুণের উপকারিতা রয়েছে। এ চা শুধু সৌন্দর্য বাড়াতেই সাহায্য করে না, ওজন কমাতে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক, চা আমাদের শরীরে কেমন উপকারিÑ শরীরের জন্য পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় পাওয়া যায়, দিনে ছয় কাপের বেশি দুধ-চিনি ছাড়া চা পান করলে তা পানির মতোই শরীর ও ত্বকে আর্দ্রতা যোগায়। আর সঠিক আর্দ্রতা থাকলেই ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য সবধরনের চাসহ প্রচুর পরিমাণে তরল পানীয় পান করা উচিত। সাদা চা ত্বকে প্রদাহ প্রতিরোধে সাহায্য করে। চা ওজন বাড়ার প্রবণতা কমাতে সহযোগিতা করে। যারা চা পান করে না তাদের তুলনায় যারা চা পান করে তাদের শরীরে চর্বির শতাংশ ও কোমরের পরিধি কম থাকে। ননী তোলা দুধ মেশানো এবং চিনি ছাড়া কালো চা সহ সবধরনের চা অন্যান্য জনপ্রিয় পানীয়ের  চেয়ে কম ক্যালরিযুক্ত। শরীরের শক্তি ধরে রাখার জন্য এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে চা অন্যান্য পানীয়ের চেয়েও অনেক ভালো কাজ করে। উপকারিতার পাশাপাশি রূপচর্চাতেও এক অনন্য ভূমিকা রয়েছে চা’ র। কুসুম গরম পানিতে টি-ব্যাগ ডুবিয়ে চোখ বন্ধ করে চোখের ওপর রাখুন। এতে আপনার চোখের ক্লান্তি ও ফোলাভাব দূর হবে। শ্যাম্পু করার পর চুলে চায়ের লিকার ব্যবহার করলে তা কন্ডিশনারের কাজ করে। পুদিনার চা চমৎকার মাউথওয়াশ হিসেবে কাজ করে।
                 ষ কাজী এমএস এমরান কাদেরী
                           সাংবাদিক, কলামিস্ট
                         বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
    



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন