২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
আল্লাহ যেখানে মানুষ সৃষ্টি করেছেন তার আশপাশে খাদ্যশস্যের ভেতরেও রোগ আরোগ্যের শেফাও দিয়েছেন। আল-হাদিস। এমনি একটি দেশীয় ফল আমলকী। সারা বছরই ফলের দোকানে আমলকী চোখে পড়ে। অনেকে আমলকী খেতে পছন্দ করলেও কারো কাছে এটি একটি তেঁতো ফল। তাই এ ফলটি খুব বেশি খেতে চান না। যারা আমলকীকে অবহেলা করছেন তারা জেনে অবাক হবেন যে, আমলকী শুধু একটি ছোট আকারের ফলই নয়, নানা গুণে সমৃদ্ধ আমলকী। প্রতিদিন একটি আমলকী খেলে শরীরে ভিটামিন ‘সি’র অভাব পূরণ হয়। বলা হয় একটি আমলকীতে আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, লেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি, কমলার চেয়ে ২০ গুণ বেশি ও কলার চেয়ে ৫০ গুণ বেশি, ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকী কেবল পথ্যই নয়, রূপচর্চায়ও কাজে লাগে। আমলকিতে কী আছে : আমলকীর ৮০ শতাংশই পানি। এছাড়া রয়েছে খাদ্য আঁশ, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। আমলকীর উপকারিতা : দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি ও ছানি দূর করতে কাজ করে * হৃদযন্ত্রের মাংসপেশি শক্তিশালী করে। * রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। * শরীরে লাল রক্তকণিতা তৈরিতে সহায়তা করে। * দাঁত ও নখ ভালো রাখে, শক্তি বাড়ায়। ইনফেকশনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। * রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। * ডায়রিয়া ও আমাশয়ে আক্রান্তদের জন্য উপকারী * ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমায়।* ঠা-াজ্বর ও কাশিতে আমলকী ওষুধের মতো কাজ করে। এছাড়া এপিটাইজার হিসেবেও উপকারী।* চুলের বৃদ্ধি ও চুল পড়া রোধে আমলকী উপকার করে। * পাকস্থলির এসিডের ভারসাম্য রক্ষা করতে আমলকী ভূমিকা রাখে। * ভিটামিন ‘সি’র অভাবে যেসব রোগ হয়, যেমন স্কার্ভি, অর্শ প্রভৃতির ক্ষেত্রে আমলকী খেলে উপকার পাওয়া যায়। * হার্টের রোগীরা আমলকী খেলে বুকের ধড়ফড়ানি কমে। * শুকনো আমলকী এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে দুই ঘণ্টা পর সেই পানিতে একটু শ্বেতচন্দন ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়। * আমলকী ক্ষুধা বাড়ায় ও শরীর ঠা-া রাখে। * বিভিন্ন রকমের তেল তৈরিতে আমলকী ব্যবহার হয়। * আমলকী রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুই তিন ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।* এভাবে এক মাস ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল পড়া ও তাড়াতাড়ি চুল পাকা বন্ধ হয়। * আমলকী খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং দাগ থাকে না।* আমলকীর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হৃৎপিন্ডের পেশি শক্তিশালী করে।* আমলকীর রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয়।* এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়া ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দুবার খেতে পারেন। এসিডিটর সমস্যা থাকবে না। * আমলকীর জুস কিংবা শুকনো যেভাবেই হোক না কেন, দিনে একটি আমলকী খেলে ভিটামিন ‘সি’র অভাব থাকে না।* এপিটাইজার হিসেবে শুকনো আমলকীর গুঁড়ার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়।* আমলকীতে সামান্য লবণ, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে দিন। শুকিয়ে যাওয়ার পর খেতে পারেন। * খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার খেতে পারেন। হজমে সাহায্য করবে।* আমলকী টুকরো করে ফুটন্ত পানির মধ্যে দিন। আমলকী নরম হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার লবণ, আদা কুচি, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখুন। সারা বছর খেতে পারবেন। হাতের কাছে পাওয়া এক আমলকীতে যখন এত গুণ, তবে কেন এ ফলটি খাবেন না। কথায় আছে প্রতিদিন দুটি করে আমলকী খেলে শরীর থাকে ছোটখাটো রোগের ঝুঁকিহীন। তাই আজ থেকেই নিজে আমলকী খান ও পরিবারের সবাইকে আমলকী খেতে উৎসাহিত করুন।
ষ ডা. মাও. লোকমান হেকিম
চিকিৎসক - কলামিস্ট ০১৭১৬২৭০১২০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।