বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত ২৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখ রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময় মসজিদ হতে নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর এলাকায় দুর্বৃত্তরা অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর ইউনিয়নের ফকিরাবাদ গ্রামের মুজিবর রহমান মাস্টার ও তার ভাই মিজানুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ভিকটিমদের ৭ম শ্রেণিতে পড়–য়া নাতনীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এলাকার বখাটে কিশোর মোঃ আরিফুল ইসলাম এবং তার আত্মীয়-স্বজন কর্তৃক তাহারা নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন।
৩। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে নিহতের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন ২৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখ ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নাম্বার- ১৭, তারিখ- ২৬/০৪/২০১৬, ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/ ৩০৭/৩০২/১০৯/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০, জিআর-৬৬/২০১৬। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ০১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামি নয়ন শেখ সহ ০৪ জন আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড ও প্রত্যেককে ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা, ০৭ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে অতিরিক্ত ০১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ০১ জন আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ নয়ন শেখকে গ্রেফতারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে।
৪। এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এর অভিযানে গত রাতে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার পলাশী গ্রাম হতে মোঃ নয়ন শেখ, পিতা- মোঃ নজরুল শেখ, সাং- ফকিরাবাদ, থানা- ভেড়ামারা, জেলা- কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ০১টি বিদেশি পিস্তল এবং ০৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
৫। গ্রেফতারকৃত নয়ন’কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ মুজিবর রহমান মাস্টার ও মিজানুর রহমান হত্যাকান্ডে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছে। এছাড়াও সে একটি অস্ত্র মামলা, একটি ছিনতাই মামলা ও একটি ডাকাতি মামলায় তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছে।
৬। গ্রেফতারকৃত মোঃ নয়ন শেখ এলাকায় নয়ন বন্ড, নয়ন ডাকাত ইত্যাদি নামে পরিচিত ছিল। হত্যাকান্ডের পর সে প্রথমে ঢাকায় পালিয়ে যায়। তারপর কোর্টে আত্মসমর্পণ করে এ মামলায় দেড় বছর জেল খাটে। জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও পরবর্তীতে জামিন বাতিল হওয়ায় সে ভারতে পালিয়ে যায়। সেখানে সে এক গৃহস্থের বাড়িতে মহিষের রাখাল হিসেবে কাজ করতো। ভারতে থাকা অবস্থায় সে কুষ্টিয়া ও রাজশাহীর বালুর ইজারাদারদের নিকট হতে বিকাশের মাধ্যমে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতো। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নিজস্ব ট্রলার যোগে মাদক ব্যবসা, মারামারি ইত্যাদি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
৭। উক্ত হত্যাকান্ড সম্পর্কে সে জানায়, প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ছাড়াও সমন্বয় এবং পরিকল্পনার সাথে সে যুক্ত ছিল। এছাড়া তার নামে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা ও দৌলতপুর থানায় ১টি অস্ত্র মামলা, ১টি ডাকাতি, ২টি মারামারি ও ১টি ছিনতাই মামলা সহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।
৬। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করতঃ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।