গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাস্তা ও ফুটপাতের ওপর অবৈধভাবে স্থাপিত দোকানপাট ও হকার উচ্ছেদের মাধ্যমে জনসাধারণের হাঁটার পথ দখলমুক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট (নুর হোসেন চত্বর) থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে আহাদ পুলিশ বক্স পর্যন্ত চলে এ অভিযান। বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় ৯ ব্যক্তিকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৯২ ধারার ৭ ও ৮ নম্বর উপধারায় এ জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হওয়ার পর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল বেড়েছে। তাই ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনসাধারণের চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে মেয়রের নির্দেশনার আলোকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স, বঙ্গভবন ও ফ্লাইওভারগামী ও ফ্লাইওভার থেকে গুলিস্তান চত্বর এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই রেড জোন থেকে সকল প্রকার হকার এবং রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত তিন দিন এখানে টানা মাইকিং করা হয়েছে। আমরা এখানে কোনো হকার বসতে এবং কাউকে অবৈধভাবে দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মাণ করতে দেব না। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. এনামুল হক ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।