মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘আমাদের ফেনী গ্রুপে’র কল্যাণে ২২ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বাবাকে খুঁজে পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পাকিস্তানি তরুণী তাহরিম রিদা। তার পৈতৃক বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ফাজিলের ঘাট এলাকায়।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৫৭ মিনিটে তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে রিদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের ফেনী গ্রুপে একটি স্টাটাস দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমি এখানে আমার বাবার পরিবার খুঁজতে এসেছি। আমার বাবা পাকিস্তান এসে আমার মাকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের ফেনী থেকে এসেছিলেন, তার নাম ছিল মুহাম্মদ কাসিম আজাদ, আমার দাদার নাম তফাজুল হক। যিনি সম্ভবত আমার পিতার শৈশবে অতিবাহিত হয়েছিলেন। আমি আমার বাবার পরিবার সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানি না। গ্রুপে নিজ চাচার একটি ছবি দিয়ে তিনি বলেন, আবু সাদিক আমার বাবার বড় ভাই। যদি কেউ এই পরিবার সম্পর্কে কিছু জানেন তবে আমার পরিবারের সাথে দেখা করা যাবে, এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের হবে, যা আমি কখনো দেখিনি।
স্ট্যাটাস দেওয়ার ২৩ মিনিটের মধ্যে তাহরিমের বাবার পরিবারের সাথে মেয়েটির পরিচয় হয়। মেয়েটির বাড়ি দাগনভূঞার ফাজিলের ঘাটে। তার ফুফু ও ফুফাত বোনের ছেলের সাথে কথা হয়। তাহরিমের দাবি, কলেজে বা বাইরে গেলে তার বাবার পরিচয় জানতে অনেকেই বিরক্ত করে। পিতৃপরিচয় না থাকায় অবহেলিত হতে হয়েছে ২২ বছর।
তাহরিমের বাবা পাকিস্তান থাকাকালে তার মাকে (মেহবুবা) বিয়ে করেন। পাকিস্তানে তার মাকে রেখে দেশে এলে তার বাবা অসুস্থ হয়ে মারা যান। এরপর তার পরিবারের সাথে আর কোনো পরিচয় ঘটেনি।
‘আমাদের ফেনী’ গ্রুপের অ্যাডমিন ইমদাদুল হক জানান, তাহরিমের বাবা দেশে এসে তার মাকে চিঠি পাঠাত। চিঠিতে উল্লেখিত ঠিকানা সংগ্রহ করে তাহরিম ফেনী নামক শব্দটি খুঁজে পায়। পরে ফেনী গুগলে সার্চ করে জানতে পারে এটি একটি জেলা। পরে ফেনী সার্চ করে আমাদের ফেনী নামক গ্রুপটি পায়। এরপর যাবতীয় ডিটেইলসসহ ফেসবুকে ইংরেজিতে পোস্ট করেন। এরপর ট্রান্সলেশন করে বাংলায় পোস্ট দেন অ্যাডমিন প্যানেল। এভাবে দাগনভূঞার ওসি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় সোশ্যাল এক্টিভিস্টদের মাধ্যমে তাহরিমের বাবার পরিবারের কাছে বার্তা পৌঁছে যায়। বর্তমানে উভয় পরিবার একে অপরকে এত বছর পর পেয়ে আবেগে আপ্লুত।
পিতৃপরিচয় পেয়ে তাহরিম রিদা বলেন, ফেনীর মানুষকে কী বলে ধন্যবাদ দেবো তা বলার ভাষা আমার নেই। আমাকে যারা খুঁজে পেতে সহায়তা করেছেন সবাইকে আল্লাহ নেক হায়াত দান করুক। শিগগিরই আপনাদের সাথে দেখা হচ্ছে।
‘আমাদের ফেনী’ গ্রুপের অ্যাডমিন শাখাওয়াত হোসেন রাজীব জানান, তাহমিদ রিদা এভাবে তার পরিবার খুঁজে পাবে কখনো কল্পনা করেনি। ফেসবুক গ্রুপের কারণে প্রায় ২২ বছর পর পিতৃপরিচয় পেয়ে তার বহুদিনের কষ্ট দূর হয়েছে। এ ঘটনায় তার পাশাপাশি গ্রুপের অ্যাডমিন ও সদস্যরা বেশ খুশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।