Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেত্রকোনা জেলায় সার সংকট ঃ অধিক দামে বিক্রি

আমন চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা

নেত্রকোনা থেকে স্টাফ রিপোটার | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:৩৭ পিএম

নেত্রকোনা জেলায় সার সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকরা আমন চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা করছে।

জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, বেশি টাকা দিয়েও চাহিদা মতো সার মিলছে না। তবে ডিলাররা সার সংকটের কথা স্বীকার করলেও কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় কোনো সার সংকট নেই।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে নেত্রকোনা জেলায় রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৫ শত ৮০ হেক্টর। শনিবার পর্যন্ত রোপণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৭০ হেক্টর জমি।
কৃষকদের দ্বোর গোরায় সার পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে নেত্রকোনা জেলায় ১১৭ জন ডিলার ও ৭১৪ জন সাব ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সরকার রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ও জ¦ালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে গত ২রা আগস্ট থেকে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের দাম বাড়িয়ে ৫০ কেজির বস্তা ১ হাজার ১ শত টাকা, টিএসপি সার ১ হাজার ১ শত টাকা, এমওপি সার ৭৫০ টাকা ও ডিএপি সার ৮ শত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের পাঁচাশি পাড়া গ্রামের কৃষক খায়রুল ইসলাম বলেন, সাড়ে ৭ শ টাকার এমওপি সার সাড়ে ১৪ শত টাকায় কিনতে হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করলে ডিলাররা তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে।
লাইট গ্রামের কৃষক স¤্রাট মিয়া বলেন, বাজারে গিয়ে আমরা কোনো সারই পাচ্ছি না। ইউরিয়া সার যদিও দু-এক বস্তা পাচ্ছি তাও সাড়ে ১২ শত থেকে ১৩ শত টাকায় কিনতে হচ্ছে। আর ফসফেট, পটাশ তো পাওয়াই যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আমরা কি ভাবে ধান চাষ করবো?
আটপাড় উপজেলার রূপচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক খোকন বলেন, তেল-সারের দাম সে হারে বেড়েছে তাতে কোনো কিছুর হিসাব মিলাতে পারছি না। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যে ধান ফলাই তার ন্যায্য দাম পাই না।
সদর উপজেলার জামতলা বাজারের সাব-ডিলার ইউসুফ আলী বলেন, বিসিআইসি ও বিএডিসি গো-ডাউন থেকে চাহিদার তুলনায় সার কম মিলছে। সরকারি বরাদ্দ কম থাকায় কৃষকরা পর্যাপ্ত সার পাচ্ছে না।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, জেলায় সারের সংকট না থাকা স্বত্বেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় কৃত্রিম সার সংকটের চেষ্টা করছিল। কৃষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই আমরা কঠোরভাবে এটা মনিটরিং করছি। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদেরকে ডিলারের দোকানে নিয়মিত তদারকি করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শঙ্কা

১৬ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ