Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনবান্ধব কর্মসূচিতেও সারাদেশ রক্তাক্ত করেছে সরকার:রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৫৯ পিএম

জনবান্ধব কর্মসূচিতেও সারাদেশ রক্তাক্ত করেছে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও যুবলীগ ছাত্রলীগ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী

২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে বিএনপি জনবান্ধব কর্মসূচি পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি সারাদেশে কর্মসূচি পালন করছে।সরকার জনগনকে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলে দেয়ার যে ষড়যন্ত্র করেছে তার প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচি চলছে।এটা তো কোন ব্যক্তিগত কর্মসূচি ছিল না।কিন্তু এই কর্মসূচিও বানচাল করার জন্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তার দলীয় ছাত্রলীগ যুবলীগ সারাদেশ রক্তাক্ত করেছে।তিনজনকে হত্যা ও অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করেছে।

শুক্রবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের র্যালির পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে রিজভী বলেন,প্রধানমন্ত্রী পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়েছিলেন যেতেই পারেন।তার কয়েকদিন আগে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছিলেন সেটা যে মিথ্যা ছিল এটা ভাবার কোন কারন নেই।কারন যে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করে তিনি তো ভাল করেই জানেন অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন হলে তিনি জিততে পারবেন না।কাজেই তাকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অন্যকোন পদ্ধতি নিতে হবে।পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এখন বাস্তবায়ন হওয়া দেখছি।

সরকারের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন,
এখন মিছিল মিটিং দেখা মাত্রই গুলি করা হচ্ছে।সামান্য একটা মিছিল মিটিং এর মত কর্মসূচিতে সরকার গুলির মত প্রানগাতিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।সেই গুলির আঘাতে কারও চোখ নষ্ট হচ্ছে আবার অনেকেই পঙ্গুত্ব বরন করছে।ওরা(সরকার) কখনও সুষ্ঠ নির্বাচনে বিশ্বাস করবে না,নির্দলীয় নির্বাচনে বিশ্বাস করবে না।ওরা অন্যের উপর ভর করে আবার ও ক্ষমতায় থাকতে চায়।অন্যের আশ্রয়ে,অন্যের সমর্থনে ক্ষমতায় থাকতে চায়।ওনার(সরকারের)পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই বলেছেন এসব কথা কথা।

রিজভী আরও বলেন,
মানুষ প্রত্যাশা করে ভারতের সাথে আলোচনা করলে কমপক্ষে সীমান্ত হত্যার বিষয়ে আলোচনা হবে।কিন্তু এটা নিয়ে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী কোন আলোচনা করেননি।পৃথিবীর কোন সীমান্ত এত রক্তাক্ত নয়,যত রক্তাক্ত ভারত ,বাংলাদেশ সীমান্তে। সীমান্তে পাখির মত মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় এই বিষয়ে তো কখনও একটু প্রতিবাদ করেন না?তিস্তা নদীর পানি আপনি আনতে পারেন না।তাহলে চুক্তি হয়েছে কি?কার্পেটের তলায় কি চুক্তি হয়েছে সেটি তো আপনি(প্রধানমন্ত্রী)বাংলাদেশের জনগনকে জানাবেন না।জনগন যেটাকে সাদা মনে করে আপনি সেটাকে কালো মনে করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডঃ খন্দকার মোশাররফ, হোসেন,সেলিমা রহমান,মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস,সাধারন সম্পাদক সুলতানা আহমেদ,সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ