রাউজান প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক আরফাত হোসাইনের ঘরে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত ১৫ মে রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় রাউজান উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রাউজান (মাঝিপাড়া) গ্রামে সাংবাদিক আরফাত হোসাইনের ঘরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকার রাউজান প্রতিনিধি সাংবাদিক আরফাত হোসাইন ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ বাজারে বখাটের উৎপাত নিয়ে সংবাদ পরিবেশনকে কেন্দ্র করে এই হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে। একই সাথে দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া চারটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
জানা যায়, হামলাকারীদের ভিডিও ও ছবি ধারণ করার সময় স্মার্ট ফোন কেড়ে নেয় তারা।
আরফাত হোসাইন রাউজান উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রাউজান মাঝিপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব ইসহাক মিয়ার পুত্র।
হামলার ঘটনায় সাংবাদিক আরফাত হোসাইন বাদী হয়ে রাউজান থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞত ৭/৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১১, তাং (১৬-০৫-২২ইং) আটক তিন আসামীকে সোমবার (১৬ মে) দুপুর আড়াইটায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে জানান রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুণ।
আটককৃতরা হলেন রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দলিলাবাদ এলাকার মাগন হাজীর বাড়ির মৃত আহম্মদ মোতালেবের ছেলে রবিউল হোসেন প্র. মাসুম (২২), পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে সুলতানপুর নাঈম মুন্সির বাড়ির আবদুর রউফের ছেলে আহম্মদ রহমান আরিফ (২১), রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের শাহনগর শরিফ বাড়ির মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন শরীফের ছেলে মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জামান শরিফ প্র. রাব্বি (২২)।
আরফাত হোসাইনের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাউজান প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিউল আলম, সাবেক সভাপতি মীর আসলাম, মাওলানা এম বেলাল উদ্দিন, প্রদীপ শীল, সিনিয়র সহ সভাপতি নোজম উদ্দিন রানা, শাহেদুর রহমান মোরশেদ,
সাধারণ সম্পাদক এম রমজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন হাবিবী, অর্থ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাবু, দপ্তর সম্পাদক আমির হামজা, নির্বাহী সদস্য লোকমান আনসারী, শাহাদাত হোসেন সাজ্জাদ, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও সাংবাদিক রায়হান। রাউজান প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক আরফাত হোসাইনের বাসভবনে হামালার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
হামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিক আরফাত হোসাইন বলেন, পরিকল্পিতভাবে ১০/১২টি মোটর সাইকেল নিয়ে আমার বাসায় প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তারা বার বার বলছিল ঈদের আগে যে নিউজটা করেছি, সেটার জন্য চরম খেসারত দিতে হবে বলে হামলা চালায়। আমি তাৎক্ষনিক পুলিশ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু ও রাউজান প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দকে ফোন করে জানায়। সাথে সাথে রাউজান থানার পুলিশ ও চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, রাউজান প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ আমার বাসভবনে ছুটে আসে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেন পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতে সোর্পদ করা হয়। বাকী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যতদ্রুত সম্ভব তাদের আটক করা হবে।