পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে দেশটির কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটির দক্ষিণে মাঞ্চার হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ায় এই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা আগামী দিনে এই অঞ্চলে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ হ্রদের কাছে সিন্ধু প্রদেশের জামশোরো এবং দাদু জেলার গ্রামবাসীদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। হ্রদের ক্রমবর্ধমান জল বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছেছে। এর ফলে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিন্ধু নদীর পশ্চিমে অবস্থিত হ্রদটি পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রাকৃতিক স্বাদুপানির হ্রদ এবং এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদগুলির মধ্যে একটি। জামশোরো জেলার প্রশাসক ফরিদুদ্দিন মুস্তফা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত পানি অপসারণেকর্মকর্তারা হ্রদের একটি বাঁধ কেটে ফেলেছিল কিন্তু এরপরও পানি বাড়ছে। মুস্তাফা বলেছেন,‘আমাদের পর্যবেক্ষণের পরে পানি বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছেছে ৃ এবং যে কোনও সময় হ্রদের বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিল, প্রশাসন এটি এড়াতে বাগ-ই-ইউসুফের একপাশ কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। দেশটিতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। এরই মধ্যে ত্রাণকর্মীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বিশুদ্ধ পানির অভাবে বন্যার্তদের পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ারস, যারা খাবার এবং আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা সবচেয়ে বড় সমস্যা। সরকারের মন্ত্রী আহসান ইকবাল জানিয়েছেন, নজিরবিহীন এই সঙ্কট মোকাবেলার মতো সম্পদ দেশে নেই। এই বন্যা সাম্প্রতিক বিশ্ব ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ জলবায়ুজনিত বিপর্যয়। রেকর্ড বৃষ্টিতে পাকিস্তানের প্রায় ১৪ লাখ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে তিন কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতার কারণে পাকিস্তানে রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও বেশি শিশু মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ইউনিসেফের আবদুল্লাহ ফাদিল বলেন, ‘এখন পানিবাহিত মারাত্মক রোগ ডায়রিয়া, কলেরা, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া দ্রুত ছড়ানোর উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। তাই আরও অনেক শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে।’ ডন, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।