Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগামী ১০ বছরে চট্টগ্রাম বসবাসের অযোগ্য হবে

সাগর নদী পাহাড় সুরক্ষিত না হলে

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম আয়োজিত নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়তে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্ব ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, পাহাড় নদী সাগর রক্ষা করে পরিকল্পিত নগরায়ন না হলে আগামী দশ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। সঠিক পরিকল্পনা রাজনৈতিক প্রশাসনিক সদিচ্ছাই পারে আধুনিক নান্দনিক মহানগরী গড়তে।

গতকাল রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পরিবেশবান্ধব নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়তে সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলা করতে আমি দ্বিধা করবোনা। যে পাহাড় কাটবে তাকেই জেলে ভরতে হবে। খাল-নালা, ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। আগামীতে নিয়মিত তা অব্যাহত থাকবে। দখলকারীরা যতই প্রভাবশালী হোক আমরা তার তোয়াক্কা করিনা আগামীতেও করবো না।

মূল প্রবন্ধে চুয়েটের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখন থেকে পরিকল্পিত পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ করে তার সঠিক বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী দশ বছরে চট্টগ্রাম মহানগরী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। তিনি চট্টগ্রাম শহরকে আধুনিক পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে মীরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক করে তার উভয় পাশে আধুনিক নগর গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়ে তোলা সম্ভব। সেক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার সঠিক বাস্তবায়ন অবশ্যম্ভাবী।

সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুমিনুর রহমান বলেন, পাহাড় নদী খাল দখলকারী মসজিদের ঈমাম বা পুরোহিত যেই হোকনা কেন তাদের নীতিগত দুর্বলতা থাকবে। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সঠিক আইনের প্রয়োগ করা হলে তারা পালাবেই। তিনি বলেন, জঙ্গল সলিমপুর থেকে পাহাড়খেকোকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে আমাকে বদলির হুমকি দেয়া হয়েছে। আমি তাদের সাধুবাদ জানিয়ে বলেছি- আমি যেখানেই চাকরি করি আমার বেতন অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাতো কম হবেনা। যারা পাহাড় খায়, বালি খায়, সরকারি গাছ খায় তারা কখনো ভালো মানুষ নয়। তাদের বিতাড়িত করা সহজ।

সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, একজন আইনজীবি, একজন মেয়র একজন জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রত্যেক নাগরিক নিজ জায়গা থেকে সচেতন থেকে সামাজিক আন্দোলন করলে পরিবেশ বান্ধব চট্টগ্রাম মহানগরী গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা অন্যায়ের প্রতিবাদ কলম দিয়ে করার সাহস রাখে। যে কারণে আমরা হাইকোর্টে মামলা করতে পেরেছি।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রামের পরিচালক মফিদুল আলম বলেছেন, জনগণ সচেতন হলে আমাদের কাজ করাটা সহজ হয়। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও পাহাড়, খাল নদী রক্ষায় প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিডিএ বোর্ড মেম্বার স্থপতি আশিক ইমরান। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম চট্টগ্রাম চেপ্টারের সভাপতি প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ