পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের ফাইনাল খেলায় ফয়সালা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন আন্দোলন করতে করতে মির্জা ফখরুল সাহেব গলা শুকিয়ে ফেলছেন। কিন্তু মরা নদীতে তো জোয়ার আসে না। জোয়ার কি আসবে কখনো?
তিনি বলেন, কর্মীদের আন্দোলন দিয়ে সরকার হটানোর ইতিহাস নেই। এখনো আপনাদের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীর বাইরে জনগণ যোগ দেয়নি। কোন মুখে বলেন ফয়সালা হবে? ফয়সালা হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ফাইনাল খেলায়। তখন দেখা যাবে কে হারে, কে জেতে।’ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতিতে একটা সংকটময় অবস্থা চলছে। সারা বিশ্বেই অস্থিরতার মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনিই প্রথম সরকারপ্রধান, যিনি বলেছেন জনগণ কষ্টে আছে। তার মানে বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তারপরও এখানে আন্দোলনের হাঁক-ডাক শোনা যায়। তিনি বলেন, রাজপথে এখন আপনারা কোন চক্রে আছেন, আমরা জানি। টেমস নদীর ওপার থেকে দণ্ডিত অর্থপাচারকারী, অপরাধী যুবরাজ হাঁক-ডাক দিচ্ছে। সেই ডাকে টেমস নদীতে ঢেউ উঠেছে কি না, জানি না। তবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় ঢেউ নেই। বিএনপির শুকিয়ে যাওয়া নদীতে জোয়ার আর আসে না। চিৎকার যত পারেন করুন, ফয়সালা হবে নির্বাচনে।
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথে হুমকি দিয়ে লাশ ফেলতে চান? আপনারা লাশ ফেলার দুষ্টচক্রে ঢুকে গেছেন। লাশ ফেলে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো আন্দোলনে ফয়সালা বিরোধী দল করতে পারেনি। সরকার হটাবেন? জনগণ সাড়া দিক, কই তা তো দেখি না। এখনো কোথাও জনগণ সাড়া দেওয়ার কেউ নেই। জনগণ কারও সঙ্গে মারামারি করে না। আপনাদের আন্দোলন মানেই হচ্ছে নিজেরা নিজেরা মারামারি। আপনাদের বিক্ষোভ মানেই হচ্ছে পুলিশের দোষ, পুলিশের ওপর হামলা। পুলিশের ওপর হামলা পুলিশ আত্মরক্ষা করবে না?’
কাদের বলেন, ‘আপনাদের হাতে রক্তের দাগ। মির্জা ফখরুল আপনাকে সতর্ক করে দিতে চাই। ২১ হাজার আওয়ামী লীগকর্মী, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, এদের রক্তে আপনাদের হাত রঞ্জিত। আমরা আপনাদের কাউকে হত্যা করিনি। হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের নেত্রী ২০ বার হত্যার টার্গেটে পড়েছেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে কেউ মারতে যায়নি। কাকে অপবাদ দেন?’
তিনি বলেন, যখনই আইনমন্ত্রী বললেন কমিশন হবে, সঙ্গে সঙ্গেই বলে জিয়াউর রহমান হত্যার তদন্তে কমিশন হবে। এ কমিশন ক্ষমতায় গেলে হবে, কবে? ক্ষমতায় যখন ছিলেন, তখন কেন করলেন না? তাহলে নিশ্চয়ই আপনাদের মধ্যেও অনেকেই আছেন জিয়াউর রহমানকে হত্যার পেছনে দূরভিসন্ধি আছে, চক্রান্তও আছে। তা না হলে কেন কমিশন করলেন না?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।