মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ডি কির্চনারকে গুলি করার চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী বুয়েনস আইরেসে তার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
আর্জেন্টিনার বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দুর্নীতির মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন ক্রিস্টিনা। গাড়ি থেকে নেমে ক্রিস্টিনা তার সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন। এসময় ভিড়ের মধ্যে থাকা এক ব্যক্তি খুব কাছ থেকে ক্রিস্টিনা কির্চনারের মুখ বরাবর পিস্তল ধরে গুলি করার চেষ্টা করে। তবে তার অস্ত্র থেকে গুলি বের হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ৩৫ বছর বয়সী একজন ব্রাজিলিয়ান নাগরিককে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বন্দুকধারী ওই ব্যক্তির নাম ফার্নান্দো আন্দ্রে সাবাগ মন্টিয়েল। ঘটনার পরপরই তাকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে কি কারণে এ হামলা তা এখনো জানা যায়নি। হামলার উদ্দেশ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ বলেছেন, ক্রিস্টিনা বেঁচে আছেন কারণ,পাঁচটি গুলি সম্বলিত বন্দুকটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারনে গুলি ছোড়েনি।
তিনি এটিকে ১৯৮৩ সালে ‘আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পর থেকে সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা’ বলে অভিহিত করেন। রাজনৈতিক নেতাদের এবং নাগরিক সমাজকে এ ঘটনা প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে কির্চনারের মুখের কাছে পিস্তল নিয়ে আসার ঘটনাকে ‘হত্যা চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছেন আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রী সার্জিও মাসা। এক টুইটে তিনি বলেন, যখন বিতর্কের উপরে ঘৃণা ও সহিংসতা প্রাধান্য পায়, সমাজ ধ্বংস হয়ে যায় এবং হত্যা চেষ্টার মতো এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ক্রিস্টিনা। এরপর ২০১৯ সালে জোট সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলমান রয়েছে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে, তাকে ১২ বছরের জেল এবং রাজনীতি থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।