মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জার্মানি সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছে যে, পশ্চিমাদের উচিত নয় মস্কোর সামরিক শক্তিকে অবমূল্যায়ন করা এবং তারা যদি এটি করে, তাহলে রাশিয়ার দ্বিতীয় যুদ্ধের ময়দানে নামার সম্ভবনা রয়েছে। জার্মানির প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল ইবাহাত যন (বুন্দেসভিয়া) রয়টার্সকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ মুহূর্তে রাশিয়ার স্থলবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ ইউক্রেনে ব্যাস্ত থাকতে পারে। তবে তা সত্ত্বেও, রাশিয়ান স্থল বাহিনীর দ্বিতীয় যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনাকে আমাদের খাটো করে দেখা উচিত নয়।’
যন বলেন, ‘সেনাবাহিনীর বাইরেও রাশিয়ার নৌ ও বিমান বাহিনী রয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ান নৌবাহিনীর বেশিরভাগই এখনও মোতায়েন করা হয়নি, এবং রাশিয়ান বিমান বাহিনীর এখনও উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, যা ন্যাটোর জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ নিয়মিতভাবে বাল্টিক রাষ্ট্রগুলিতে ন্যাটোর বিমান নজরদারি মিশনকে সহায়তাকারী বুন্দেসভিয়ার এঅঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী ফাইটার জেট এবং নৌবহর রয়েছে। তারা দোরগোড়ায় বাল্টিক সাগরের অগ্রগতির দিকে নজর রাখে।
একটি সম্ভাব্য হটস্পট হল, ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড এবং লিথুয়ানিয়ার মধ্যে একটি রাশিয়ান ছিটমহল কালিনিনগ্রাদ রাশিয়ার বাল্টিক নৌ বহরের আয়োজক এবং দেশটির পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ইস্কান্দার স্থাপনার স্থান। ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন যদি ন্যাটোতে যোগদান করে, তাহলে রাশিয়া কালিনিনগ্রাদে পারমাণবিক এবং হাইপারসনিক অস্ত্র স্থাপনের হুমকি দিয়েছে। জার্মান প্রতিরক্ষা প্রধান জোর বলেছেন যে, রাশিয়ার কাছে যথেষ্ট সমরাস্ত্র মজুদ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আঞ্চলিকভাবে লড়াই বিস্তারে খুবই সক্ষম।’
ইউক্রেনের সামরিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে যন বলেন যে, রাশিয়ার আক্রমণের গতি শ্লথ হয়ে গেছে কিন্তু দেশটি এখনও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বিশাল গোলাবারুদের শক্তিতে তারা তাদের সুবিধা নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’ যন মন্তব্য করেছেন যে, রাশিয়ার গোলাবারুদ সহসা শেষ হয়ে যাবে না। প্রতিরক্ষা প্রধান বলেন, ‘রাশিয়ানদের হাতে প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ রয়েছে। এই গোলাবারুদ আংশিকভাবে পুরানো এবং খুবই ত্রটিপূর্ণ। কিন্তু ঠিক এটিই ব্যাপকভাবে বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের কারণ।’
যন বলেন যে, তিনি এই মুহুর্তে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের গভীরে কোনও সুদূরপ্রসারী আক্রমণের আশঙ্কা করেন না। তিনি আরও বলেন যে, রাশিয়ান বাহিনী বর্তমানে পূর্ব ইউক্রেনের শিল্প অঞ্চল ডনবাস জয়ের দিকে মনোনিবেশ করছে যেখানে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইতিমধ্যেই কিছু অংশ দখল করে রেখেছে। তবে এখনো কোনো সামরিক অভিসন্ধি চোখে পড়েনি। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।