নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : মাঠের বাইরে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বড় ধরনের অর্থদÐে দÐিত হতে হয়েছে সাব্বির রহমান রুম্মান এবং আল আমিন হোসেনকে। বিপিএলে ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরীর ক্রিকেটার রাজশাহী কিংসের সাব্বিরের সম্মানী থেকে ১৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা এবং প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘এ’ গ্রেডের ক্রিকেটার বরিশাল বুলসের পেস বোলার আল আমিনকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা অর্থদÐ দিয়েছে বিসিবি। বিসিবি’র দুর্নীতি দমন ইউনিটের গোপন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে শুনানীতে ওই ২ ক্রিকেটার হাজির হয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করায় তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেয়া হয়েছে বলে ক’দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ডা. আই এইচ মল্লিক।
ঘটনাটি নারী ঘটিত বলে মিডিয়ায় নানা খবর চলে আসায় লঘু অপরাধে গুরুদÐ পেয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেছেনÑ ‘কিছুদিন ধরেই শুনতে পারছেন আমার কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে নিয়ে ফেসবুক ও সংবাদ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। আপনাদের কি বিশ্বাস হয় আমি এ কাজটি করেছি? দেখুন, মেয়ে ভক্ত, ছেলে ভক্ত, ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত আমার অনেক ভক্ত আছে। সবাইকে তো আমি ছবি তুলতে মানা করতে পারি না। আমি যদি কোথায় যাই, তখন কেউ তখন আমার সঙ্গে ছবি তুলতে আসলে আমি তাকে মানা করতে পারি না। মেয়েরা ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়, ছেলেরাও তাই করে। কেউ যদি এর অপব্যবহার করে, এর জন্য তো আমি দায়ী হতে পারি না। এটা আমার দোষ নয়। আপনাদের যদি মনে হয় আমি এ কাজগুলো করেছি, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আসলে আমি এই কাজটি করতেই পারি না। আপনাদের যদি মনে হয় আমি এই কাজটি করিনি, সবাই দেখুক, সবাই জানুক, বুঝুক, আমি এমন কাজ কখনোই করতে পারি না।’
তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া ভিডিও বার্তায় সাব্বিরের এই বক্তব্যকে অসত্য বলে, তাকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ডা. আই এইচ মল্লিক। একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটলে প্রয়োজনে বিসিবি তাকে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করবেন বলেও সতর্কবার্তা দিয়েছেন ওই কর্মকর্তাÑ ‘যে ইস্যুতে সাব্বিরকে সাজা দেয়া হয়েছে, তা সে নিজেই স্বীকার করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা একটা হেয়ারিং কমিটি করেছিলাম, বিসিবি’র সিইও এবং এন্টি করাপশন বিভাগের প্রধান নিজেই তার শুনানী নিয়েছেন। কোন না কোনভাবে সে জড়িত হয়ে পড়েছে, সে নিজেই ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। সে তরুণ ক্রিকেটার, তার ভবিষ্যত অনেক বড়, সম্ভাবনা আছে বলেই মিডিয়ায় ব্যাপারটি বলতে চাচ্ছি না। ভবিষ্যতে এসব কাজ থেকে বিরত রাখতে সাজা দেয়া হয়েছে। অনুতপ্ত তাকে হতেই হবে। ভবিষ্যতে দ্বিতীবার এ ধরনের ঘটনা ঘটালে তাকে নিষিদ্ধ হতেই হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।