মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে বলে দেশটির ভূপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার এর আগে ওই এলাকায় আরও দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়াবিজ্ঞান ও ভূপদার্থবিজ্ঞান সংস্থা (বিএমকেজি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার একটু আগে দেশটির সুমাত্রা দ্বীপের পশ্চিমে মেনতাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে অল্প গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি রেকর্ড করেছে এবং এর কারণে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছে।
বিএমকেজির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সংস্থাটি প্রথমে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৪ রেকর্ড করেছিল, পরে তা সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ করা হয়।
সোমবার হওয়া তিনটি ভূমিকম্পের তীব্রতা ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। ভোররাতে হওয়া প্রথমটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ২, এক ঘন্টা মধ্যে অনুভূত হওয়া দ্বিতীয়টি ছিল ৫ দশমিক ৪ মাত্রার।
এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, মেনতাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা কয়েক সেকেন্ড ধরে তীব্র কম্পন অনুভব করেছেন। এর পাশাপাশি পশ্চিম সুমাত্রা দ্বীপের রাজধানী পাডাং ও পাশ্ববর্তী বুকিতিংগি পার্বত্য অঞ্চলেও ভূমিকম্পটির তীব্রতা অনুভূত হয়েছে।
তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি কিন্তু সিবেরুত দ্বীপপুঞ্জে কিছু ভবন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
পৃথকভাবে মেনতাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় দুর্যোগ বিভাগের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের উঁচু এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় গির্জা, স্কুল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুর্যোগ সংস্থাটি জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সম্ভাব্য পরাঘাতের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
২০০৯ সালে পাডাংয়ে হওয়া ৭ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ১১০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, আহত হয় আরও বেশি এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়া তথাকথিত ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলার’ (প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার) ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েক হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এ অঞ্চলটিতে ভূত্বকের কয়েকটি পৃথক টেকটোনিক প্লেট এসে মিলেছে আর তাই এখানে ঘন ঘন ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুৎপাতের মতো ঘটনা ঘটে থাকে। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।