পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে ভারতের কাছে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার অনুরোধ করে দেশের ভাবমর্যাদা যেমন ক্ষুন্ন হয়েছে, ঠিক তেমনি ভাবে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখলে রাখার বিষয়টি আবারও স্পষ্ট হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী বক্তব্যের পর কেউ কেউ বলছেন উনি আওয়ামী লীগের কেউ নন, উনিতো বাংলাদেশের মন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য গোটা মন্ত্রিসভার বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য। প্রধানমন্ত্রীও ইতিপূর্বে বলেছিলেন, আমি ভারতকে যা দিয়েছি আজীবন মনে রাখবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাবেন, ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তিসহ অনেক চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। ভারতের সাথে কী চুক্তি হবে, দেশবিক্রির চক্তি? সফরে যাওয়ার আগে কি চুক্তি হবে তা জনগণকে জানাতে হবে। তিনি বলেন, ভারতের সাথে কোনো গোলামী চুক্তি দেশবাসী মেনে নিবে না। কাজেই এই তাবেদার সরকারের এক মূহুর্ত ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সার্বভৌমত্ব বিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্যের প্রতিবাদ, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিরোধ ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগর সভাপতি প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারি মাসুদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা মো. ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা মো. নেছার উদ্দিন, মুফতি দেলোয়ার হোসেন সাকী, মাওলানা মো. আরিফুল ইসলাম, ডা. মো. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, খালেদ সাইফুল্লাহ ।
মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জনগণ স্বাধীনতা অর্জনে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। একইভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি বলেন, দালাল চাটুকার সিইসির অধীনে প্রহসনের নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। জাতীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। তিনি বলেন, নির্লজ্জ সরকারকে পদত্যাগ করে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন, দেশে লাখ লাখ যুবক শ্রেণি বেকার হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, ভারতের অনেক নাগরিককে চাকরি দিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশপ্রেমিক সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে হবে। তিনি আরো বলেন, চা’ শ্রমিকরা সারাদিন কাজ করে ২ কেজি চালের দাম পাচ্ছে না। চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। জ্বালানি তেলে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন। না হয় ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান।
দলের মহাসচিব ইউনুছ আহমদ বলেন, দেশ বিরোধী শক্তি আজ আওয়ামী সরকারের মাথা খেয়ে ফেলেছে। সরকার নিজেদেরকে স্বাধীন রাখতে ব্যর্থ হয়ে দেশটাকেও বিকিয়ে দিচ্ছে। মন্ত্রী এমপিদের অসংলগ্ন কথাবার্তা এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশ চোরদের হাত থেকে এখন ডাকাতদের হাতে চলে গেছে। তিনি বলেন, সরকার দিল্লির ইশারায় সবকিছু করছে।
অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, লাল সবুজের পতাকা এখন দালালদের কবলে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে। ইভিএম তথা বাটপারি মেশিনে ভোট করার খায়েশ জনগণ পুরণ করতে দেবে না।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, দেশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভারতের সহযোগিতায় ক্ষমতায় গেলেও এখন আর ভারতের সহযোগিতায় যেতে পারবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে এ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থণ নেই। সরকারের দেউলিয়াত্বও ভারত বুঝতে পারছে, এ কারণে ভারত সামনে আর সহযোগিতা করবে না, তা আঁচ করতে পেরেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সাহায্য চেয়েছে। আওয়ামী লীগ মেরুদন্ডহীন সংগঠনে পরিণত হয়েছে। পরে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।