পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি জানিয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
জিডিতে তিনি লিখেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পর থেকে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন নম্বর থেকে আমাকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জীবননাশের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। জিডিতে তিনি আরও লিখেছেন, আজ সকালে কল করে আমাকে বলা হয়, সমস্যার সমাধান করবি কি না? ‘আমি কিন্তু ডাইরেক্ট গুলি করে মাইরা ফালাই।’ আমি তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন, আমি গুলি কইরা মাইরা ফালাই এটাই আমার পরিচয়। তারপর আমি ফোন কল কেটে দেই। পরে একই ব্যক্তি আবারও আমাকে কল করে কোর্টের সামনে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
জিডির বিষয়ে জানতে চাইলে এরশাদ হোসেন রাশেদ বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি নাম-পরিচয় জানতে পারিনি। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছি জন্যই এই হত্যার হুমকি। গেল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্যের একটি অংশ ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করে। মন্ত্রী বলেছিলেন, ভারতের নয়াদিল্লিতে গিয়ে অনেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমি দেশটিতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। আজ অনেকের বক্তব্যতে সেটাই এসেছে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।
এরপর ২১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি লিগাল নোটিশ পাঠান। নোটিশে মন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়। নোটিশে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
নোটিশটি পাঠানোর পর ওইদিন আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ বলেছিলেন, মন্ত্রীর বক্তব্য সার্বভৌমত্মকে আঘাত করেছে। তাই নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলেছি। অন্যথায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা মধ্যে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে, ভারতে গিয়ে এমন কথা বলিনি। এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। নির্বাচন নিয়েও আমি কোনো কথা বলিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।