বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা : বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের পরে নিজ দলীয় প্রার্থী খান আলতাফ হোসেন ভুলু’কে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে আসা মাঈদুল ইসলামের মনোনয়ন চূড়ান্ত করে চমক দেখাল আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে মোট ৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিলের পরে ঐ দিন রাতেই তা পরিবর্তন করে দলের শীর্ষ মহল। কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খান আলতাফ হোসেন ভুলু দলীয় মনোনয়ন লাভ করে জেলা পরিষদের প্রশাসক পদ থেকে পদত্যাগও করেন। অপরদিকে ভুলু বাদেও আরো ৩ বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়পত্র দাখিল করেন। যাদের মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া সাবেক এমপি মাঈদুল ইসলাম এবং বানরীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুখ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ হোসেন চৌধুরীও রয়েছেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাতে দলের দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত নেতা ভুলুকে বাদ দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী মাঈদুল ইসলামকেই বেছে নিল আওয়ামী লীগের শীর্ষ মহল। তবে কি কারণে দল শেষ পর্যন্ত নিজ দলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে আসা নেতাকে বেছে নিল, তা নিয়ে বরিশালের বিভিন্ন মহলে নানা গুঞ্জনও শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে।
যদিও বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর সহধর্মীনি শাহনারা আবদুল্লাহর দলীয় মনোনয়ন লাভের যথেষ্ঠ সম্ভাবনার পরেও তা না হওয়ায় হতবাক হয়েছেন অনেকে। পাশাপাশি নিজ দলের পরীক্ষিত নেতাকে মনোনয়ন দিয়েও তাকে বাদ দিয়ে ভিন্ন দল থেকে আসা প্রার্থীকে বেছে নেয়ার ঘটনাটিও গতকাল বরিশালের আলোচনার শীর্ষে ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন পরিবর্তনের ঘটনায় আবুল হাসনাতের কোন হাত ছিল বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। তাদের মতে, তার স্ত্রী মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হবার পরে তিনি কোন মতেই দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ভিন্ন দল থেকে আসা কাউকে মনোনয়ন দেয়ার সুপারিশ করবেন না। কোন কোন মহলের মতে, মাঈদুল ইসলামের জন্য জাতীয় পার্টিরই শীর্ষ পর্যায়ের কোন নেতার তদবিরে আওয়ামী লীগ শেষ মুহূর্তে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।
তবে যেকারণেই হোক নিজ দলের দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত একজন নেতাক বাদ দিয়ে অতীতের স্বৈরাচার আমলে যারা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনে ভূমিকা রেখেছে এমন কাউকে বেছে নেয়ার পরিনতি কি হয়, তা হয়ত ভবিষ্যতই বলতে পারবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সাথে আলাপ করা হলে কেউই এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।