মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনের দক্ষিণে জাপোরিঝজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং আশপাশের এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সরকারি একজন মুখপাত্র বলেছেন রুশ সৈন্য সরে গেলে পারমাণবিক কেন্দ্রটির ওপর হুমকি আরো বেড়ে যাবে।
মার্চ মাস থেকে ইউরোপের বৃহত্তম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। তবে সেখানে কাজ করছে ইউক্রেনীয় কর্মীরাই। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে এই স্থাপনাটির ওপর গোলাবর্ষণের কারণে পারমাণবিক দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে বিশ্বজুড়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের সাথে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দাবি করেন পারমাণবিক স্থাপনাটির পুরোপুরি 'বেসামরিক-করণ' নিশ্চিত করতে হবে জাতিসংঘকে।
পরে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সাথে ত্রি-পক্ষীয় এক বৈঠকের পর ইউক্রেনের এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেন গুতেরেজ। তিনি বলেন, "স্থাপনাটির কোনো ক্ষতি হলে তা হবে আত্মহত্যার সামিল।" সরাসরি রুশ সৈন্য প্রত্যাহার বা স্থাপনার ওপর গোলাগুলির জন্য কোনো একটি পক্ষকে দায়ী না করলেও গুতেরেজ সে সময় বলেন, "সামরিক অভিযানের অংশ হিসাবে কোনোভাবেই এই পারমাণবিক স্থাপনাটি ব্যবহার হতে পারবে না।"
জাপোরিঝজিয়ায় বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানও সাংবাদিকদের বলেন, "চেরনোবিলের মতো আরেকটি পারমাণবিক বিপর্যয়ের" ঝুঁকি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তবে এরদোগানও সরাসরি কোনো একটি পক্ষকে দায়ী করেননি।
ইউক্রেনেরই চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে ১৯৮৬ সালে বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইভান নেচায়েভ জাপোরিঝজিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। মস্কোতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "তা করা হলে কেন্দ্রটি আরো হুমকির মুখে পড়বে।"
ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক স্থাপনার ওপর এই হামলার জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরকে দায়ী করছে। ইউক্রেন বলছে রাশিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রটিকে একটি ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। কেন্দ্রটিকে একটি সেনা ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে সেখান থেকে ইউক্রেনের বিভিন্ন টার্গেটে রকেট হামলা করছে।
রাশিয়া বলছে এই অভিযোগ মিথ্যা, বরঞ্চ বিপদ বুঝেও উসকানি তৈরি করতে ইউক্রেনের সৈন্যরা পারমাণবিক স্থাপনাটির ওপর অব্যাহতভাবে রকেট ছুঁড়ছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লে. জে. ইগর কোনাশেনকভকে উদ্ধৃত করে রুশ মিডিয়া আরআইএ নভোস্তি লিখেছে জাতিসংঘ মহাসচিবের ইউক্রেন সফরের সময় জাপোরিঝজিয়ায় 'উস্কানি' তৈরির পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। তিনি বলেন, বোমা মেরে বিপর্যয় তৈরি করে তার দায় রাশিয়ার ঘাড়ে চাপানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
কোনাশেনকভ বলেন, পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র এবং শেল দিয়ে এই স্থাপনাটি টার্গেট করছে ইউক্রেন। তিনি বলেন, স্থাপনার কাছে একটি বিদ্যুৎ সাব স্টেশনে হাই ভোল্টেজ লাইন ইউক্রেনের ছোঁড়া গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার জেরে দুটো বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটে উৎপাদন কমিয়ে দিতে হয়েছে। স্থাপনায় কর্মরত ইউক্রেনীয় কর্মীরা বলেছে গত দুই সপ্তাহে স্থাপনাটি ক্রমাগত সামরিক হামলার টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।