Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যাডমিন্টনে কাদা ছোড়াছুড়ি!

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : খেলোয়াড় কল্যাণ সোসাইটির নামে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনে শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি! সোসাইটির দু’পক্ষের মাঝে হঠাৎ ঘটে যাওয়া হাতাহাতির ঘটনা এক কথায় দুঃখজনক। গতকাল পল্টন ময়দানসংলগ্ন শহীদ ক্যাপ্টেন (অব.) তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামস্থ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন সভাকক্ষে জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান শাটলাররা মারামারিতে লিপ্ত হলেন। দু’দলের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এনায়েত উল্লাহ খান ও বর্তমান জাতীয় দলের শাটলার অহিদুজ্জামান রাজু। অভিযোগ রয়েছে, খেলোয়াড় কল্যাণ সোসাইটির দু’পক্ষের মাঝে ঘটে যাওয়া অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার ফায়দা লুটছেন ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন কর্তারা। তারা নাকি নিজেদের পদ ধরে রাখার জন্য খেলোয়াড়দের ব্যবহার করছেন তুরুপের তাস হিসেবে। মারামারির মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে খেলোয়াড় কল্যাণ সোসাইটির কার্যক্রম শাটলারদের জন্য কি কল্যাণ বয়ে আনবে তা বোধগম্য নয় ব্যাডমিন্টনবোদ্ধাদের।
গত ১৪ নভেম্বর রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কল্যাণ সোসাইটির এজিএমে সাবেক সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খানের উপর অনাস্থা এনে উপস্থিত শাটলারদের পছন্দ মোতাবেক নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান রাজু সভাপতি ও সিলেটের শিব্বির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু এনায়েত এই নির্বাচনকে মনগড়া ও সাজানো নাটক বলে উল্লেখ করে সেখান থেকে চলে আসেন। পরে তিনি কল্যাণ সোসাইটির নতুন কমিটিকে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সমালোচনা করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এরপরই এনায়েত নিজ পক্ষের কিছু সাবেক ও বর্তমান শাটলারকে জড়ো করে কল্যাণ সোসাইটির নতুন কমিটি গঠনে তৎপর হন। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে গতকাল। এদিন ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাকক্ষে খেলোয়াড় কল্যাণ সোসাইটির ব্যানারে একটি সভার আয়োজন করেন এনায়েত। সভায় কল্যাণ সোসাইটির নাম ব্যাবহার করায় বর্তমান সভাপতি রাজু চটে যান। তিনি সভাস্থলে গিয়ে ব্যানার খুলতে গেলে এনায়েত তাকে সজোরে হ্যাঁচকা টানে সরিয়ে দেন। এসময় অপরিচিত এক বহিরাগত যুবক সামনে এসে এনায়েতকে থাপ্পড় মারলে সভাস্থল মারামারি ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে কুরুক্ষেত্রে রূপ নেয়। এনায়েত পুলিশ দলের কোচ হওয়ার সুবাদে সেখানে উপস্থিত পুুলিশের শাটলাররা ওই যুবককে উত্তম-মাধ্যম দেয়ার সময় রাজুর গায়েও হাত পড়ে।
এমন এক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মাঝেও এনায়েত কয়েকজন শাটলারকে নিয়ে দাঁড়িয়ে কল্যাণ সোসাইটির নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। ঘটনা প্রসঙ্গে এনায়েত বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ ব্যানার ছিঁড়তে আসে রাজু। আমি বাধা দিতে গেলে তার পক্ষের লোকজন আমার উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। রাজুর খেলোয়াড়ধারী কিছু সন্ত্রাসী আমাকে মেরেছে। আমি আগে কোনোদিন তাদেরকে দেখিনি।’ এনায়েত পক্ষের লোকজনের দাবি, যে ছেলেটি এনায়েতের গায়ে হাত তুলেছে সে রাজুর ভাড়া করা গুÐা।
রাজু বলেন, ‘একটি নির্বাচিত কমিটিকে উপেক্ষা করে একই ব্যানারে এনায়েত কীভাবে আরো একটি কমিটি করে তা বোধগম্য নয়। তাছাড়া এই সভার ব্যাপারে কিছুই জানেন না ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক। তাতেই স্পষ্ট ফেডারেশনের কিছু ব্যক্তির ইন্ধনে এনায়েত এ কাজটি করেছে।’ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সদস্য জাহিদুল হক কচির কথা, ‘শাটলারদের কোনভাবেই তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। তাদের কাজ খেলা, ঐক্যবদ্ধ হয়ে খেলোয়াড়দের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া। তা না হলে আমরা কাউকেই বৈধতা দেবো না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাডমিন্টন


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ