প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কের মাত্র এক চতুর্থাংশ ইউক্রেনকে দিচ্ছে পশ্চিমারা
ব্রিটেনের সানডে টাইমস রোববার জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুর মধ্যে ইউক্রেন পশ্চিম-প্রতিশ্রুত ট্যাঙ্কগুলোর এক চতুর্থাংশের কম পাবে। এতে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকায় মস্কোর যেসব মিত্রদেশ রয়েছে, তারা রাশিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এসব দেশকে যেকোনো সময় আধুনিক অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে মস্কো প্রস্তুত। পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা বলছেন, অস্ত্র রপ্তানি চাঙা করতেই এ কথা বলেছেন পুতিন। খবর রয়টার্সের।
রাজধানী মস্কোর অদূরে রাশিয়ার অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। নিজেদের তৈরি অত্যাধুনিক অস্ত্রে রাশিয়ার সক্ষমতা দেখানোর জন্যই এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে দেশটি। সোমবার থেকে ওই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ঘোষণা দিয়ে বলেন, সমমনা দেশগুলোকে অস্ত্র দিতে প্রস্তুত রাশিয়া।
‘আর্মি–২০২২’ শীর্ষক ওই অস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে দেওয়া বক্তৃতায় পুতিন বলেন, ‘আমরা আমাদের মিত্রদের অত্যাধুনিক অস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুত আছি। ছোট অস্ত্র থেকে সাঁজোয়া যান, আর্টিলারি, যুদ্ধবিমান ও সামরিক ড্রোন দিতে আগ্রহী আমরা। সত্যিকার লড়াই অভিযানে একবারের বেশি এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।’
ইউক্রেন যুদ্ধের ছয় মাসের মাথায় পুতিন এমন কথা বললেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে বারবার পিছু হটেছে রাশিয়া। যুদ্ধে মস্কোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অস্ত্র ও সেনাদের দুর্বল অবস্থানের জন্য দেশটির অস্ত্র রপ্তানিতে সম্ভাব্য ক্রেতাদেশগুলোর আগ্রহ কমতে পারে। বিশেষ করে ভারতের মতো দেশগুলোর। অতীতে রাশিয়ার অস্ত্রে অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল নয়াদিল্লি। এমন সময়ে পুতিন এ কথা বললেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।