Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনায় ইজিবাইক চালককে হত্যার লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি ৪ খুনির

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২২, ১:৩৮ পিএম | আপডেট : ৬:২৭ পিএম, ১৩ আগস্ট, ২০২২

খুলনায় ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য শুক্রবার রাতে খুন করা হয় চালক নয়নকে (১৭)। এ ঘটনায় হত্যার পরপরই ৪ খুনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আজ শনিবার বিকালে হত্যাকান্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে দুই খুনি আদালতে লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন অতিরিক্ত সিএমএম সুমী আহমেদ। জবানবন্দি শেষে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। খুনিরা হচ্ছে পারভেজ (১৮), নয়ন (১৭), রবি (১৮) ও হৃদয় (১৯)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আলামিন জানান, আদালতকে খুনি নয়ন ও হৃদয় বলেছে, ইজিবাইকের জন্য খুন করা হয় নয়নকে। ইজিবাইক চালক নয়নের সাথে পূর্ব পরিচয় ছিল তাদের। শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হয় নয়ন। রাত ১০ টার দিকে তাকে ফোন দিয়ে আলীর ক্লাবের সামনে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর চারজন নয়নকে দারুস সালাম এলাকার একটি মসজিদের পিছনের রাস্তা দিয়ে মহিমা খাতুনের পরিত্যাক্ত জমিতে নিয়ে যায়। ইজিবাইক থেকে নয়নকে নামানো হয়। পরপরই আসামি হৃদয় পেছন থেকে নয়নের হাত ধরে রাখে। পারভেজ গলা টিপে ধরলে নয়ন পাশের কচুরীপানায় ভরা ডোবায় পড়ে যায়। পারভেজ পানির ভেতর মাথা চুবিয়ে রেখে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। মারা যাওয়ার পর আসামি নয়ন মৃতের শরীরের ওপর কিছুক্ষণ বসে থাকে। এরপর তারা লাশটি ওখানে ফেলে রেখে ইজিবাইক নিয়ে শহরের বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়ায়। মাঝরাতে পারভেজ ও রবি পথে নেমে যায়। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ইজিবাইক নিয়ে হৃদয় ও নয়ন ময়ুর আবাসিক প্রকল্প এলাকায় হরিণটানা থানার টহল পুলিশের হাতে আটক হয়। তখন তারা পুলিশের সামনে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে পারভেজ ও রবিকে দারুস সালাম মহল্লা ও আরাফাত আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে নিহতের মা বুড়ি বেগম ওই ৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, আজ শনিবার সকালে আলীর ক্লাব সংলগ্ন দারুস সালাম মসজিদের পাশে পরিত্যক্ত জমির পাশ থেকে হেঁটে যাওয়ার সময় এক মহিলা ডোবার মধ্যে নয়নের মরদেহ দেখে চিৎকার করে এলাকাবাসীকে জড়ো করেন। পরে ওই এলাকার লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। নিহত নয়ন সোনাডাঙ্গা থানাধীন দারুস সালাম মহল্লার আব্দুল কাদের নূরানী মাদ্রাসার পিছনের বাসিন্দা কবির হোসেনের ছেলে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা

৪ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ