Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সীমান্ত হত্যা বন্ধ করে বন্ধুত্বের প্রমাণ দিতে হবে ভারতকে

ইসলামী ফ্রন্টের মহাসমাবেশে-নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ভারত প্রতিবেশি বন্ধু হলে তিস্তার ন্যায্য পানির হিস্যা দিতো। অবিলম্বে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। ভারত কাশ্মীরে পাখির মতো মুসলিম গণহত্যা চলাচ্ছে। ভারতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সীমান্তে বিএসএফ এর মাধ্যমে বাংলাদেশি হত্যা অব্যাহত রয়েছে। এটা ভারতের কোন ধরনের বন্ধুত্ব। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করে ভারতকে বন্ধুত্বের প্রমাণ দিতে হবে। ভারত বাংলাদেশে মাদক পাচার করে এদেশের যুব সমাজের বারোটা বাজাচ্ছে। মাদক চোরাকারবার বন্ধ করতে হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়; কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা, অবহেলিত সুফিবাদী জনতার অধিকার আদায় ও জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষা সঙ্কোচনের প্রতিবাদসহ পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় পরিষদের উদ্যোগে গতকাল শনিবার সকালে গুলিস্তান বশির মিলনায়তন সংলগ্ন চত্বরে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। একই সাথে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন, সীমান্তহত্যা বন্ধ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

এতে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিন। মহাসমাবেশে ১০ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল স.উ.ম আবদুস সামাদ। দলের চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ক্ষমতায় থাকার জন্য ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এ অসুস্থ প্রতিযোগিতার বলী হয় সাধারণ জনগণ। এভাবে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ভুলন্ঠিত হচ্ছে বার বার। এ অবস্থা আর চলতে পারে না। আমরা চাই দেশে সুস্থধারার রাজনীতির বিকাশ হোক, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত হোক। এ জন্য চাই স্বচ্ছ ব্যালটবাক্সে ব্যালট পেপারে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। নতুন আইন পাশ করে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর স্বাধীন করতে হবে। অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক বা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না তিনি আরো বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ সূফিবাদী। অথচ সুফিবাদীরা দেশে সবচেয়ে অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত। সুফিবাদী আলেম ও নেতাকর্মীদের হত্যাকাণ্ডের কোন বিচার হয়নি।

তিনি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে প্রেরিত অর্থে প্রণোদনা প্রদানসহ অর্থ পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ, জঙ্গীবাদীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। মহাসমাবেশে আরোও বক্তব্য রাখেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মঈনুদ্দীন আশরাফী, কো-চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস সোলাইমান আনসারী, মহাসচিব পীরে তরিকত সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, সাংগঠনিক সচিব প্রিন্সিপাল ড. ইছমাঈল নোমানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী হারুন, শাহাব উদ্দীন, চৌধুরী প্রিন্সিপাল আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, প্রিন্সিপাল ড. শেখ আফজল হোসেন, এম সোলায়মান ফরিদ, পীরে তরিকত ছাদেকুর রহমান হাশেমী, সৈয়্যদ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, প্রিন্সিপাল আবু তালেব বেলাল পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী এম এ ওয়াহিদ সাবুরী, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম পাঠোয়ারী, প্রিন্সিপাল আবু জাফর মঈনুদ্দিন, প্রিন্সিপাল আল্লামা তৈয়্যব আলী, শেখ শাহজাদা গোলাম মুহাম্মদ আবদুল কাদের কাউকাব, অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ