পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আরব সাগরে ডুবে যাচ্ছিল ভারতের একটি নৌযান। নৌযানের সঙ্গে ডুবতে বসেছিলেন সেখানে থাকা ৯ জন ভারতীয় ক্রুও। এই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডুবে যাওয়া থেকে ওই ৯ জনকে উদ্ধার করেন পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সদস্যরা। পাকিস্তানের নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডুবে যাওয়া ভারতীয় ওই নৌযানটির নাম ‘জামনা সাগর’। তাতে মোট ১০ জন কর্মী ছিলেন। নৌযানটি থেকে তারা ডিসট্রেস কল দেন। সেই কল শোনার পর পাকিস্তান মেরিটাইম ইনফরমেশন সেন্টার পাশে থাকা একটি জাহাজকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে নির্দেশ দেয়। পরে তারাই নৌযানের নয়জন ভারতীয় কর্মীকে উদ্ধার করেন।
পাকিস্তানের নৌবাহিনীর ওই জাহাজটি দুবাই যাচ্ছিল। পরে ভারতীয় কর্মীদের উদ্ধার করে আবার দুবাইয়ের দিকে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে তারা ভারতীয় কর্মীদের নামিয়ে দিয়ে যাবে।
এদিকে ৯ ভারতীয়কে উদ্ধারের পরও পাকিস্তানের নৌবাহিনীর জাহাজ ও দু’টি হেলিকপ্টার সেখানে পৌঁছায়। কারণ, তখনও একজন ক্রুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সেই কর্মীর লাশ সমুদ্রে ভাসতে দেখে উদ্ধার করা হয়। তার মরদেহ পাকিস্তান মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সিকে দেওয়া হয়েছে। এর আগে এই বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের নৌবাহিনী ভারতের একটি সাবমেরিনকে ওই অঞ্চলে শনাক্ত করেছিল। তখন পাকিস্তান অভিযোগ করেছিল, ভারত নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে ওই সাবমেরিন পাঠিয়েছিল। নৌবাহিনী সতর্ক থাকায় ভারতীয় সাবমেরিন পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকতে পারেনি বলেও পাকিস্তান সেসময় দাবি করেছিল। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।