বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে যাত্রীবেশে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) অটোরিকশার চালক সোহেল হোসেন (৩২) নিজে বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন।
আইনশৃংখলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুতবিচার) আইন – ২০০২ (সংশোধন) আইন – ২০১৯ এর ৪/৫ ধারায় দায়েরকৃত মামলায় সাতজনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীরা হচ্ছে, পাবর্তীপুর উপজেলার সোনাপুুর উত্তর মুন্সিপাড়ার আফতাবের ছেলে সুমন (২০), সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা তিনমাথা মোড় এলাকার আনিসুলের ছেলে মো. সোহেল খান (২০), পার্বতীপুরের সোনাপুকুর উত্তর মুন্সিপাড়ার মান্নানের ছেলে আইজু (৩৫), মৃত. ইলিয়াসের ছেলে ব্রিটিশ (৩০), রফিকুলের ছেলে সাগর (৩০), আনিছুর (২২) এবং রবিউল (২২)। এদের মধ্যে সুমন (২০) ও সোহেল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের পূর্ব বেলপুকুর হরিয়াপাড়ার মৃত. ওয়াহেদ আলীর ছেলে সোহেল হোসেন (৩২)। তিনি পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। তিনি ঘটনার দিন গত ১০ আগস্ট রাত আনুমানিক নয়টার দিকে প্রতিদিনের মতো সৈয়দপুর শহরের তামান্না মোড় এলাকায় তাঁর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি নিয়ে যাত্রী উঠানোর জন্য অবস্থান করছিলেন। এ সময় পূর্ব পরিচিত জনৈক আইজু দিনাজুপরের পার্বতীপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাঁচশত টাকা ভাড়ায় চালক সোহেল হোসেনের অটোরিকশাটি রিজার্ভ করে।
এরপর আইজু সেখানে এবং এর আনুমানিক ১০০ গজ দূরে চৌমুহনীবাজার যাওয়ার রাস্তায় আরো ৬ জন যুবক ওই অটোরিকশাটিতে উঠেন। পরবর্তীতে চালক সোহেল হোসেনের অটোরিকশাটি নিয়ে পাবর্তীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ভবেরবাজার নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত প্রায় ১১টার দিকে পাবর্তীপুরের বেনিরহাট হয়ে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। রাত আনুমানিক পৌণে বারটার দিকে অটোরিকশাচালক সোহেল তাদের নিয়ে বেনিরহাট পার হেয়ে ভেরভেরিয়ার দোলা শ্মশানঘাটের কাছে পৌঁছেন।
এ সময় যাত্রীবেশে থাকা ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা চালক সোহেলকে অটোরিকশা থামাতে এবং চুপচাপ থাকতে বলে। এরপর ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা অটোরিকশার চালক সোহেল হোসেনের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে তারা অটোরিকশা চালকের কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন, নগদ ৮ শ’ টাকা ও অটোরিকশাটি নিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পাকা রাস্তার পাশের একটি বাঁশঝাড়ের মধ্যে ফেলে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে চিরিরবন্দর চম্পাতলীর দিকে পালিয়ে যায়। এরপর চালক সোহেল কৌশলে হাত পায়ের বাঁধন খুলে চিৎকার করে অটোরিকশার পিছু নেন।
কিন্তু ততক্ষণে ছিনতাইকারীরা অটোরিকশাটি নিয়ে সটকে পড়ে। এরপর চালক সোহেল সৈয়দপুরে ফিরে এসে তাঁর চাচা মোখলেছুর রহমানকে (৪৬) ঘটনাটি অবগত করে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটির খোঁজে বের হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গত ১১ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে জানতে পারেন চিরিরবন্দর উপজেলার বেংমারীরহাটে একটি অটোরিকশাসহ দুই চোরকে ধরে বেঁধে রেখেছেন স্থানীয় লোকজন।
পরে সেখানে গিয়ে চালক সোহেল তাঁর অটোরিকশাটি সনাক্ত করেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে আটক অটোরিকশা ও দুই চোরকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের সৈয়দপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।