পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
নি¤œবিত্ত, মধ্যবিত্ত, সীমিত আয় ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে আজ আহাজারি চলছে। তার কারণ লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। নিত্য প্রয়োজনীয়, জ্বালানি দ্রব্য ও সকল সেবা (শিক্ষা, চিকিৎসা, ইত্যাদি) মূল্য বেড়েই চলেছে অস্বাভাবিক ও আকস্মিকভাবে। অন্যদিকে সেই হারে বাড়ছে না নি¤œবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষদের আয়। এসব মানুষের যেন দু’মুঠো ভাতের ব্যবস্থা করাই কষ্টকর হয়ে গেছে। সেখানে বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের উন্নত মানের কথা চিন্তা করা যেন বিলাসিতা। কিছু ক্ষেত্রে আয় বৃদ্ধি রাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি নামক সামাজিক ক্যান্সার সৃষ্টি করেছে। মজুমদারদের অত্যধিক মুনাফা আসক্তি, ইচ্ছেকৃত মূল্য বৃদ্ধি, খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানি দ্রব্যের সংকট, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি, ন্যায়সঙ্গত ও নির্ধারিত মূল্য নির্ধারণ না করা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রধান কারণ। গ্যাস, পানি, তেল ও বিদ্যুতের সংকট এতে চরমমাত্রা যোগ করেছে। এমনটা চলতে থাকলে একদিকে যেমন দুর্ভিক্ষ হানা দেবে। অন্যদিকে বিক্ষোভ নামক সামাজিক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়বে রাষ্ট্রে। ফলে রাষ্ট্র হবে অস্থিতিশীল। মুদ্রাস্ফীতি নামক নাজুক পরিস্থিতি রুখতে এখনই সরকার, ব্যবসায়ী, জনগণ সকলকে উদ্যোগী হতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে করতে হবে পরিকল্পিত বাজার মনিটরিং, কৃষি পণ্যের ভর্তুকি দেওয়া, অবৈধ মজুদ নিষিদ্ধকরণ, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, পণ্যের সাশ্রয়ী ব্যবহার ইত্যাদি। কিছু সংখ্যক দুর্নীতিবাজ, মুনাফা-লোভী সুফল ভোগ করলেও এর দুর্ভোগ পোহাতে হতে হচ্ছে বৃহৎ সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে। তাই সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করে, এই অপ্রত্যাশিত দুর্ভোগ লাঘবে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে, যেন কেউ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে। এ বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি মহলগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।