Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রোববার সন্ধ্যায় শাহবাগ সমাবেশে লাঠিপেটার পর সোমবার পুলিশের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২২, ৬:৫২ পিএম

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা সমাবেশে বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেলসহ পুলিশের কাজে বাধা দেয়াসহ হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে গুরুতর রক্তাক্ত ও হাড়ভাঙা জখমের অভিযোগ মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার শাহবাগ থানায় এ মামলা করা করা হয়। পুলিশ।


ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করার পর ২১ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।


সোমবার শাহবাগ থানার এসআই পলাশ চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে দায়ের বরা এই মামলায় ‘বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেলসহ পুলিশের কাজে বাধা দেয়াসহ হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে গুরুতর রক্তাক্ত ও হাড়ভাঙা জখমের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।


এর আগে রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ‘প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনসমূহ’ ব্যানারে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশের শেষ পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে৷


ছাত্রসংগঠনগুলো বলেছে, তাদের বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহবাগ মোড়ে ডিএমপির রমনা অঞ্চলের এডিসি হারুন অর রশীদ, এসি বায়েজীদুর রহমান, এসি (পেট্রল) বাহা উদ্দীন ভূঞা, শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার, পরিদর্শক (নিরস্ত্র) গোলাম মোস্তফা পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সন্ধ্যা পৌনে ৭টার সময় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা বিনা অনুমতিতে বেআইনিভাবে শাহবাগ মোড়ের পাকা রাস্তার ওপর বিক্ষোভ সমাবেশ করার নামে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন।


পুলিশ তাদের রাস্তার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করে। কিন্তু আসামিরা অনুরোধ ও নিষেধ অমান্য করেন। এজাহারে থাকা আসামিরা মিছিল ও স্লোগানের মাধ্যমে হাতে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেলসহ ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করে।

 

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, পুলিশ থামানোর চেষ্টা করলেও বিক্ষোভকারীরা লাঠিসোঁটা ও ইটের টুকরা দিয়ে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে মারধর করেন। আসামিদের লাঠির আঘাতে রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার বায়েজীদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (প্যাট্রল) বাহা উদ্দীন ভূঞা আহত হন।

 

এছাড়াও বিক্ষোভকারীদের লাঠির আঘাতে উপপরিদর্শক রাশেদুল আলম আহত হন। পরে পুলিশ নিজেদের জানমাল ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।


ঘটনাস্থল থেকে বিক্ষোভকারীদের ব্যবহৃত তিনটি বিভিন্ন আকারের বাঁশের লাঠি, সাতটি বিভিন্ন আকারের কাঠের লাঠি ও ১২টি ইটের টুকরা জব্দ করা হয়েছে৷


এবিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, বিক্ষোভকারীদের হামলায় পুলিশের তিন সদস্য গুরুতর আহত হন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশের মামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ