Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কূটনীতিক আনারকলিকে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা

রুহুল আমিন | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২২, ৯:৫৫ এএম

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এক কূটনীতিককে ফিরিয়ে এনেছে সরকার। তিনি সেখানের ডেপুটি চিফ অব মিশন পদে দায়িত্বরত ছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কাজী আনারকলির বাসায় অভিযান চালায় ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। সে সময় তার বাসায় নিষিদ্ধ মাদক মারিজুয়ানা পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে ইন্দোনেশিয়া সরকারের অনুরোধে তাকে ঢাকায় ফেরত আনা হয়।

প্রসঙ্গত, ক‚টনৈতিক দায়িত্ব থেকে আনারকলিকে ফেরত আনার ঘটনায় এবারই প্রথম নয়। এর আগে বাসার গৃহকর্মী নিখোঁজের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস থেকে তাকে ফেরত আনা হয়েছিল। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ওই রাজ্যে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল ছিলেন ২০তম বিসিএসের পররাষ্ট্র ক্যাডারের এই কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ২০১৭ সালে গৃহকর্মী নিখোঁজ (মানবপাচার) ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তাকে সাসপেন্ড না করে ইন্দোনেশিয়ায় নিয়োগ ছিল অবৈধ সিদ্ধান্ত। মার্কিন সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তাকে জাকার্তায় জরুরি পদায়ন করা হয়েছিল এবং ইন্দোনেশিয়ার ভিসা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অবৈধ বা অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আনারকলি পার পেয়েছেন। তাই জাকার্তায় বসেও বেআইনি (মাদক ব্যবসা) কাজ করে গেছেন তিনি।

হালিম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, নারী পাচারে ধরা খাওয়ার পরও কার স্বার্থে এবং কোন ক্ষমতাবলে তাকে আবার তড়িঘড়ি করে ইন্দোনেশিয়ায় পোস্টিং করা হলো-তা জানা দরকার। যারা বা যার ক্ষমতা বলে তাকে ইন্দোনেশিয়ায় পোস্টিং করা হলো-তারও বিচার হওয়া উচিত। স্বজনপ্রীতিরও একটা সীমা থাকা দরকার।

পারভেজ নামে একজন লিখেছেন, আমার ধারণা তাকে বাঁচিয়ে দেয়া হয়েছে। হয়তো আরও ভয়ঙ্ককরভাবে ফেঁসে যেতেন।

আতিকুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, নাইজেরিয়ানের সাথে বাসা শেয়ার মানে লিভ টুগেদার করা, নাউজুবিল্লাহ। গজব পড়–ক তার ওপর। আমেরিকা থেকে বহিস্কৃত সে, তারপরও বিচার না করে পদে রাখা হয়েছে কার স্বার্থে। ইন্দোনেশিয়াও বেশি বাড়াবাড়ি করেছে। তাদেরকে প্রতিবাদ জানাতে হবে।

নাসের নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশের হাইকমিশনগুলো হচ্ছে- অযোগ্যদের বাসস্থান, খোঁজ নিলে দেখা যাবে, সবগুলোই স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত।

মো. শাহজাহান নামে একজন লিখেছেন, তাকে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। সে বিদেশে বসে বারবার এ দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন।

কাজী নামে একজন লিখেছেন, সম্মানিত পদে দায়িত্ব পালনকালে যারা মাদকে জড়িত হয়, তারা দেশের মান-সম্মান বুঝে না। তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।

অনেকে লিখেছেন, আনারকলি এ দেশের মান-সম্মান নষ্ট করেছে। তার কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। তাহলে তারা শিক্ষা পাবে।

কেউ লিখেছেন, সরকারের কিছু উচ্চ পর্যায়ের ব্যাক্তিদের কারণে তারা নষ্ট হয়েছে। তাদেরও কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সোশ্যাল মিডিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ