প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
মুক্তির আগে থেকেই নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা বলে আসছিলেন শতভাগ মৌলিক গল্পে নির্মিত সিনেমা ‘হাওয়া’। প্রেক্ষাগৃহে আসার দুই দিন না যেতেই শোনা গেল, এ ‘হাওয়া’ নকল। কোরিয়ান সিনেমা ‘সী ফগে’র অনুকরণে নির্মাণ করা হয়েছে এটি। এমন দাবি তুলেছেন নেটিজেনদের একটি অংশ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের মতো করে পোস্ট দিচ্ছেন তারা।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ‘হাওয়া’র নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন। তিনি সিনেমাটিকে সম্পূর্ণ মৌলিক গল্পের বলে দাবি করেন গণমাধ্যমের কাছে।
যারা নকলের অপবাদ তুলেছেন তারা ‘হাওয়া’ না দেখেই এসব বলছেন উল্লেখ করে সুমন বলেন, ‘যারা এই দাবি তুলেছেন মনে হয় তারা আমার সিনেমাটি দেখেননি। তাদের বলব, আপনারা আগে আমার সিনেমাটি দেখে, মিলিয়ে তারপর এরকম দাবি তুলুন।’
এম রহিম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এটি বাংলা সিনেমাকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র।
মো. জাহিদ হাসান নামে একজন লিখেছেন, বাংলাদেশ নকলের শ্রেষ্ঠ।
সালমা সানি পার্লার নামে একজন লিখেছেন, ভালো কিছু হলে এক ধরনের মানুষ তা মেনে নিতে পারে না, কিভাবে খারাপ দিক বের করা যায় সেটাই চিন্তা করে।
মো. বাবুল নামে একজন লিখেছেন, বিশ্বের সব দেশেই এক দেশ আরেক দেশের প্রযুক্তি কমবেশি করে নকল করেই নিজেকে উন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে, এখানে হাওয়া ছবিকে নিয়ে এতো সমালোচনা কেনো ?
সারমিন সেমু নামে একজন লিখেছেন, আলাদা দুটি সিনেমা। হুদা আমরা বাঙালি ক্যাচাল লাগায়। কিছু বাঙালির কাজই হলো পেছনে টেনে ধরা।
আসিফ নজরুল নামে একজন লিখেছেন, নকল করাও একটা যোগ্যতা, এটা কয়জনে পারে? যারা কোনো কিছু করতে পারে না, তারাই শুধু খুঁত খুজে বেড়ায়।
তামান্না আকতার নীলু নামে একজন লিখেছেন, নকল করাতে দর্শকদের তো কোনো সমস্যা নেই। বরং আমরা কোরিয়ান এবং বাংলা দুটি সিনেমা একসাথে দেখতে পারবো।
স্বপ্নীল শুভ নামে একজন লিখেছেন, এটা নকল মুভি না, এই মুভির সাথে কোরিয়ান সিনেমার কোনো মিল নেই। সাগরে মুভি করছে এর মানে এই নয় যে, এটা নকল। যারা এটা ছড়াচ্ছে তারা মুভি দেখেনি মনে হয়, না দেখেই মন্তব্য করতেছে। তাহলে তো বলতে গেলে টাইটানিক মুভিটাও সাগরের ভেতরে? তাহলে কি টাইটানিক মুভির নকল হাওয়া? বাঙালি খুবই অদ্ভুত জাতি। কারো ভালো দেখতে পারে না। ????????
সিরাজুম মুনীরা নামে একজন লিখেছেন, আমরা বাঙালিরা এই একটা জিনিস ভীষণ ভালো পারি। সেটা হলো খুঁত বের করা, সমালোচনা করা, ছোট করা।
আয়েশা সিদ্দিকা নামে একজন লিখেছেন, কেউ ভালো কিছু করবে বাংলাদেশের মানুষ সেটা ভালোভাবে নিবে তা কি হয়, বরং তাকে টেনে হিচড়ে নিচে নামাতেই হবে।????
টিটু খান নামে একজন লিখেছেন, আমরা এমন এক জাতি কারো ভালো দেখতে পারি না, শুধু একটা জিনিস পারি তা হলো সমালোচনা।
সেতু সুমা নামে একজন লিখেছেন, নকল হোক আর যাই হোক, ছবিটা ভালো হয়েছে। ভালোকে ভালো বলতে শিখুন।
মুক্তা ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, ভালো কিছু জনগণের সহ্য হয় না, ভালোকে ভালো বলতে খুব কষ্ট হয় আমাদের।
অনেকেই লিখেছেন, নকল হোক আর যাই হোক, এ সিনেমাটি অনেক ভালো হয়েছে। তারা পরিচালক ও কলাকৌশলীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, এমন ছবি উপহার দেওয়ার জন্য।
আবার কেউ লিখেছেন, পরিচালকের নকল করা ঠিক হয়নি। এটি বাংলা সিনেমাকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।