পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : রাহিল শরিফের পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হওয়ার দৌড়ে থাকা দুজনের মধ্য থেকে কয়েকটি কারণে পাক সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম বাজওয়ার সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পেছনে সামরিক দক্ষতার পাশাপাশি তার কূটনৈতিক সমর্থনকে বড় করে দেখিয়েছে। জেনারেল বাজওয়াকে রসিক, বুদ্ধিমান, সহজবোধ্য এবং সেনাদের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রক্ষা করতে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো। এ ছাড়া তিনি প্রচারের আলোয় আসতে পছন্দ করেন না বলেও জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দায়িত্ব নেওয়ার পরেই তিনি হলেন পাকিস্তানের চার তারকার চারজন জেনারেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, নিয়োগের আগে কামার বাজওয়ার জীবনবৃত্তান্ত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের একাধিক বিভাগ। সেই বিভাগগুলোর প্রতিবেদনে করাচিতে জন্ম নেওয়া এই পাঁচ তারকার জেনারেলকে অমায়িক ও কঠোর পেশাদারি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এবং তার জীবনবৃত্তান্ত স্পষ্টভাবে গণতন্ত্রের প্রতি তার গভীর আস্থার কথা প্রমাণ করে। এ ছাড়া কামার বাজওয়ার সামরিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাও তাকে এই পদে আসতে সাহায্য করছে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তানের প্রায় ৭০ বছরের ইতিহাসে সেনাবাহিনী প্রায় অর্ধেক সময় দেশের শাসন ক্ষমতায় ছিল। সেনাশাসকদের সবাই ছিলেন দেশটির সেনাপ্রধান যারা কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত। আর তাই পাকিস্তানের যে কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের কাছেই সঠিক সেনাপ্রধান নিয়োগ একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।
ডনের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নির্বাচিত সরকারের প্রতি জেনারেল বাজওয়ার তুলনামূলকভাবে উন্নত। এ ছাড়া সবচেয়ে বড় কোরের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাও একটি বিষয়। সব মিলে অন্যদের চেয়ে বাজওয়াই এগিয়ে ছিলেন। নিয়ন্ত্রণরেখায় নিয়োজিত কোর-১০ এর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এ ছাড়া জঙ্গিপ্রবণ উত্তরাঞ্চলেও সফল অভিযানের নজির রয়েছে, বেলুচিস্তানের পরিস্থিতিও তার জানা। এত কিছুর পরও যে বিষয়টি জেনারেল বাজওয়াকে সেনাপ্রধানের আসনে বসিয়েছে, তা হলো- গণতন্ত্রের প্রতি তার সহাবস্থান।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে করাচিতে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খানের অবস্থান কর্মসূচির সময় বাজওয়া ওই অঞ্চলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তিনি সেনাশক্তি প্রয়োগের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিলেন। নওয়াজ শরিফ নিশ্চয়ই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন। জেনারেল বাজওয়ার এই গণতন্ত্রপন্থী অবস্থানই তাকে সেনাপ্রধানের পদে বসতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের ১৫তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন বাজওয়া। যে কারণে তাকে এ পদে বসানো, তা কি হাসিল হবে, নাকি উল্টো রথে উঠবে পাকিস্তান? কিছুই বলা যায় না। ডন, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।