পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটবাক্স ভরার অভিযোগের বিষয়টি প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
নির্বাচন কমিশনে সংলাপের তিনি বলেছেন, রাতে কিন্তু কাজটা (নিদৃষ্ট ব্যালটে ভোট দেওয়া) হয়। হয় মানে কি, আমরাই করাইছি। কী বলব, এটা হয়। এটা হয় না (ব্যালটে ভোট দেয়া), ঠিক না। এ জন্য আগামী নির্বাচনে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর প্রস্তাব রেখে তিনি বলেন, এখন প্রত্যেকটি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। কাজেই চাইলে সকাল বেলা (ভোটকেন্দ্রে) ব্যালট পৌঁছানো সম্ভব। গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ওই সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণের বিষয়ে ঘোর বিরোধিতা করে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দেশের মানুষের ইভিএমে আস্থা নেই দাবি করে দলের পক্ষে বলা হয়, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কোন যৌক্তিকতা নেই। ইভিএমে ভোট হলে আসন্ন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে না। সংলাপে অবশ্য ইভিএমের বিষয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল কোন মন্তব্য করেননি।
সংলাপে ইভিএমের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ইভিএমে আমাদের (জাতীয় পার্টি) আস্থা নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমারও এতে কোন আস্থা নেই। মানুষ মনে করে ইভিএমে ভোট পাল্টে দেয়া হলে কিছু করার নেই। কারণ ফল রি-চেক করা যায় না
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে জাপা মহাসচিব বলেন, ‹ইভিএম সম্পর্কে আপনাদের এক্সপার্টদের কথাও আমার মাথায় ঢোকেনি। জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ছাড়া ইভিএম ব্যবহার যৌক্তিক হবে না।
সংলাপে অংশ নিয়ে জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ইভিএম খুবই কঠিন পদ্ধতি। অনেক দেশে ইভিএম বাতিল করেছে। প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু নিজের নির্বাচনে ইভিএমের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে বলেন, নির্বাচনে ভোটগ্রহন শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এর সমাধান কখন হবে, কে এটা ঠিক করবে সেই লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় ইভিএম নষ্ট হলে সেটা আপনারা ঠিক করবেন? না নির্বাচনের অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম করবেন?
সংলাপের এক পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব খান ইভিএমের পক্ষে যুক্তি দিয়ে দাবি করেন, তাদের সময় ইভিএমে কোন সমস্যা হয়নি। এ সময় আহসান হাবীব খানকে থামিয়ে দিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, ইভিএম খুবই স্পর্শকাতর। এটা নিয়ে যুক্তি দিয়ে লাভ নেই।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নু আরো বলেন, আপনাদের দোষারোপ করে লাভ নেই। রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা না পেলে নির্বাচনে আপনারা অসহায়। সমস্যা আমাদের সিস্টেমের। কিছু সমস্যা নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য না হলে যতই শক্ত আইন করা হোক না কেন, কোনো লাভ হবে না। নির্বাচনে ভালো পদ্ধতিতে হোক সেটা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউই চায় না। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূণ্য হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন ব্যালট পেপারে গ্রহণের দাবি করে তিনি বলেন, আমরা চাই ওই নির্বাচনটি ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হোক। নির্বাচনটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। এই নির্বাচনটি ইভিএমে হলে জাতীয় পার্টির যাওয়ার সম্ভবনা নেই।
নির্বাচন কমিশনে বৈঠকে জাতীয় পার্টি প্রস্তাবে আরো যা বলেছে তা হলো- আনুপাতিক প্রতিনিনিধিত্বমুলক নির্বাচন, নির্বাচনী কর্মকর্তারা নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ না করে নিজস্ব ক্ষমতাবলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে আইন প্রণয়ন; নির্বাচনি খরচ ২৫ লাখ টাকা বাড়িয়ে করে ৫০ লাখ টাকা করা, প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সীমা তুলে দেওয়া; ইউটিলিটিস বিল, ক্রেডিট কার্ড-এর বিলের জন্য প্রার্থীতা বাতিলের বর্তমান বিধান বাতিল করা; সরকারি কর্মচারীদের অবসরের যাওয়ার পরে সরকারি মালিকানাধীন ও স্বায়িত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের তিন বছর না গেলে নির্বাচন করতে না পারার বিধান করা।
মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম, ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ভূইয়া, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।