Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালী জেলা শহরে ইউপি সচিবের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল , ২ নারী গ্রেফতার

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২২, ৬:৪৭ পিএম

নোয়াখালীর সদর উপজেলার ২০নং আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শেখ ফরিদের (৩৩) অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ২ নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের থেকে এসব কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ও ভিডিও উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইউপি সচিব ৩ জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামি নোয়াখালী পৌরসভার হরিনারায়ণপুর এলাকার কাজী কলোনী সংলগ্ন রিফাত হাউজের ভাড়াটিয়া মো. নাঈমের স্ত্রী নুসরাত জাহান তিথি (২৬) পলাতক রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, নোয়াখালী পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামের খালেক দারোগার বাড়ির আক্তার হোসেনের মেয়ে সানজিদা আক্তার জেরিন (২০) ও চাটখিল পৌরসভার দশঘরিয়া হাজী বাড়ির মাহাবুব রব্বানীর স্ত্রী সুবর্ণা মাহাবুব (৩৫)।

শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার নোয়াখালী পৌরসভার মাইজদী হাউজিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার সুধারাম মডেল থানার পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নোয়াখালীর মাইজদী শহরে দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র প্রতিষ্ঠিত বিত্তশালী পুরুষদের টার্গেট করে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হয়। আবার অনেক সময় নির্জন কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দিবে কিংবা পারিবারের সদস্যদের নিকট পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ক্রমাগত টাকা দাবি করত চক্রের সদস্যরা।

পুলিশ আরও জানায়, একজন ভুক্তভোগী প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দেয়। পুলিশ অনুসন্ধান করে অভিযোগের সত্যতা পেলে এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা নেওয়া হয়। ওই মামলায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২ নারী প্রতারককে গতকাল বৃহস্পতিবার মাইজদী শহরের হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের থেকে মোবাইলে ধারণকৃত বিভিন্ন জনের অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,গত ৫/৬ বছর তারা কয়েকজন মিলে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে টাকা আদায় করে আসছিলেন। পরে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে ২০নং আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শেখ ফরিদের ফোনে একাধিকবার কল করা হলে ও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো.শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রেফতার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ