বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জবি সংবাদদাতা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রলীগের হামলায় জবিতে কর্মরত এক সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত সাংবাদিক শাহ আলম বেপারী বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির জবি প্রতিনিধি। গতকাল সোমবার বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের কারণে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন গ্রæপের তুর্জ, কামরুল এবং সুমন গ্রæপের ওমরের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যের সামনে দুই গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ছবি উঠাতে গেলে সাংবাদিক শাহ আলমকে বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে তার মাথা ফেটে যায়। তাকে মিডফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, জুনিয়র ছেলেদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। আমাদের জানানো হলে আমরা তা সমাধান করার জন্য বসতে চেয়েছি। কিন্তু ওই গ্রæপের ছেলেরা রড ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এতে আমাদের কোনো হাত ছিল না। বরং তারা যেন হামলা না করে, সে জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। সুমন গ্রæপের কর্মীরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সাংবাদিককে হামলা করিনি। বরং আমরা ওই সাংবাদিককে হাসপাতালে নিয়ে গেছি। হারুন গ্রæপের ছেলেরাই সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে।
এ বিষয়ে লালবাগ ডিভিশনের সহকারী কমিশনার শাহেন শাহ বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রæপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায় তা মারামারিতে রূপ নেয়। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। গুরুতর কিছু হয়ে থাকলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এনটিভি অনলাইনের জবি প্রতিবেদক শাহ আলম বেপারীর ওপর ছাত্রলীগ কর্তৃক ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।