Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিঙ্গাপুরে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি, এখনই দেশে ফিরছেন না রাজাপক্ষে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২২, ৩:৩০ পিএম

সিঙ্গাপুর থেকে শীঘ্রই দেশে ফিরবেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। মঙ্গলবার এমনই দাবি করেন শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার মুখপাত্র বান্দুলা গুণবর্ধণে। কিন্তু আদৌ তা হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে দ্বীপরাষ্ট্রে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সিঙ্গাপুরে থাকার মেয়াদ আরও ২ সপ্তাহ বাড়িয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত ১৪ জুলাই মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে যান গোতাবায়া রাজাপক্ষে। ওই সময় ১৪ দিনের জন্যে সিঙ্গাপুরে থাকা অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় ১১ অগাস্ট পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে থাকতে পারবেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।

সিঙ্গাপুর প্রশাসন সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজধানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছেন রাজাপক্ষে। তিনি হোটেল ছেড়ে কোনও বাড়িতে চলে যেতে পারেন বলেও অনুমান করা হচ্ছে। তবে রাজাপক্ষে কোনও রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি বলেও জানিয়ে দিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী সাধারণত কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয় না। কিন্তু তারপরও রাজাপক্ষের থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করায় উঠছে প্রশ্ন। তাকে আর দেশে ফেরানো যাবে কিনা তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।

চরম আর্থিক সংকটে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কায় দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতাও। গোয়াবায়া রাজাপক্ষে দেশছাড়ার পর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রনিল বিক্রমাসিংঘে। ২১ জুলাই শপথ নেয়ার পর সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। “আমরা একটা সংকটের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছি। চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ। অবস্থার পরিবর্তন চাইছে দেশের যুব সমাজ। তাই শাসক-বিরোধী সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” শপথ নেয়ার পর বলেন বিক্রমাসিংঘে।

আর্থিক ও রাজনৈতিক সংকটের জেরে সম্প্রতি অশান্ত হয়ে ওঠে রাজধানী কলম্বো। গত ৯ জুলাই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হাউসে চড়াও হয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপরই দেশ ছেড়ে চম্পট দেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। সিঙ্গাপুরে পৌঁছনোর পর ১৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। রাজাপক্ষের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন দ্বীপরাষ্ট্রের আইনসভার স্পিকার। নতুন প্রেসিডেন্ট ঠিক করতে ভোট হয় শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রনিল বিক্রমাসিংঘে। এরপরই বিক্ষোভ দমনে কড়া পদক্ষেপ করেন তিনি। সেনাবাহিনী নামিয়ে উঠিয়ে দেয়া হয় বিক্ষোভকারীদের। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শ্রীলঙ্কা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ