Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গোটাবায়ার বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরে মামলা, গ্রেপ্তারের আবেদন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২২, ৯:৩৮ এএম

শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালানো সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরের এটর্নি জেনারেলের কাছে অপরাধের অভিযোগ দায়ের করে তাঁকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানিয়েছে আন্তর্জাতিক একটি অধিকার সংগঠন।

গোটাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় ২০০৯ সালের গৃহযুদ্ধের সময় তামিল দমনাভিযানে জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে দক্ষিণ- আফ্রিকাভিত্তিক অধিকার সংগঠন ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস প্রজেক্ট’ (আইটিজেপি)।

কয়েক দশকের ওই গৃহযুদ্ধে গোটাবায়ার এই বিতর্কিত ভূমিকার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তারের আর্জি জানিয়েছে সংগঠনটি। ওই সময় শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা প্রধান ছিলেন গোটাবায়া।

সিঙ্গাপুরের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে গোটাবায়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগনামার কপি হাতে পেয়েছে রয়টার্স। তাতেই ওই অপরাধের জন্য গোটাবায়াকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে বলা হয়েছে।

দক্ষিণ- আফ্রিকাভিত্তিক অধিকার সংগঠন আইটিজেপি যুক্তি দেখিয়ে বলেছে, সর্বজনীন আইনগত অধিকার বা এখতিয়ারের আওতায় সিঙ্গাপুরে গোটাবায়া রাজাপাকসের অপরাধের বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়।

শ্রীলঙ্কায় নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের জেরে টানা কয়েক মাসের বিক্ষোভের পর গত ১৩ জুলাই সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান তৎকালীন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। এর পরদিনই ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি।

সিঙ্গাপুরে গোটাবায়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের খসড়া প্রস্তুতে কাজ করেছেন আইনজীবী আলেকজান্দ্রা লিলি ক্যাথার।

জার্মানির বার্লিন থেকে ফোনে তিনি বার্তা সংস্থা য়টার্সকে বলেন, ‘যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সে সম্পর্কে যাচাই করা তথ্য এমনকী প্রশ্নবিদ্ধ ওই ব্যক্তি; যিনি এখন সিঙ্গাপুরে আছেন, তাঁর সঙ্গে বাস্তবিকভাবে সম্পৃক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’

‘এ অভিযোগে সিঙ্গাপুরের সামনে নিজস্ব আইন এবং নিজস্ব নীতিতে মানবাধিকারের পক্ষে উঠে দাঁড়ানো এবং ক্ষমতায় থাকা মানুষজনকে এর মর্ম বুঝিয়ে দেওয়ার চমৎকার সুযোগ বাস্তবিক পক্ষেই আছে।’

এ বিষয়ে গোটাবায়ার মন্তব্য জানার জন্য সিঙ্গাপুরে শ্রীলঙ্কান হাই কমিশনের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি এর আগে শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শ্রীলঙ্কা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ