Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কিশোরীদের হেনস্থা-চিত্র তুলে ধরায় ‘ক্ষমাপ্রার্থনা’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২২, ৬:৪৭ পিএম

কিশোরীদের জোর করে বিয়ে করা থেকে শুরু করে অল্প বয়সি মেয়েদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার, কিছুই বাদ নেই তালেবানের রাজত্বে— প্রমাণ ছাড়াই এমন অভিযোগ করায় ‘ফরেন পলিসি’ নামে এক বিদেশি পত্রিকার এক সাংবাদিককে আটক করেছে তালেবান।

দিন তিনেক বন্দি থাকার পরে লিন ও’ডয়েল নামে ওই সাংবাদিক তার বক্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর। যার পরে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। ‘তালেবানি কমান্ডারেরা কিশোরী মেয়েদের জোর করে বিয়ে করছে, কিশোরীদের যৌনদাসী করে রাখা হচ্ছে, এমন বিষয়ে আমার লেখা তিন থেকে চারটে প্রতিবেদনের জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি...’— ওই অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের টুইটারে হঠাৎ ভেসে ওঠা এই বার্তা দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই।

আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে পাকিস্তানে এসে অবশ্য এক বিবৃতি দিয়ে লিন জানিয়েছেন, ওই বার্তা দেওয়ার জন্য তাকে জোর করা হয়েছিল তালেবানের তরফে। সেই প্রসঙ্গে লিনের টুইট, ‘‘টুইটারে ক্ষমা চেয়ে নিন নয়তো জেলে যান, যেটা মনে হয় করুন: বলেছিলেন তালেবান গোয়েন্দারা। আমি টুইট করলাম। প্রথমটা পছন্দ হয়নি। ডিলিট করলাম, এডিট করলাম, রি-টুইট করলাম। আমার একটা ভিডিও বানানো হয়, যেখানে আমাকে বলতে বলা হয় যে এর জন্য আমাকে কোনও রকমের চাপ দেয়া হয়নি। সেটাও বারবার শুট করতে হয়েছে।’’

তবে শুধু কিশোরীদের যৌন হেনস্থার ছবিই তুলে ধরেননি লিন। আফগানিস্তানে রূপান্তরকামীদের নিয়েও লিখেছিলেন তিনি। যার জন্যেও তালেবানি রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। কারণ রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় তালেবান প্রশাসন। লিনের মন্তব্য, ‘‘তালেবানের দাবি, তাদের দেশে তৃতীয় লিঙ্গের কোনও অস্তিত্বই নেই।’’

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন যুদ্ধ-সাংবাদিক লিন গত ২০ বছরে বহু বার আফগানিস্তানে গিয়ে সাংবাদিকতা করেছেন। তবে এ বার চরম হেনস্থার শিকার হতে হয় তাকে। যার জেরে সে দেশ থেকে বেরিয়ে তড়িঘড়ি পাকিস্তানে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তালেবান সরকারের তরফে অবশ্য এখনও এই নিয়ে মুখ খোলা হয়নি। সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস।

 



 

Show all comments
  • Harunur Rashid ২৪ জুলাই, ২০২২, ৯:২০ পিএম says : 0
    This so called reporter should look in to her own country and see how their children are exploited instead of poking in to Afghanistan.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্ষমাপ্রার্থনা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ