পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণেই ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান এসে বলে যেতে পারে যে, সীমান্তে যারা মারা যাচ্ছে তারা দৃষ্কৃতিকারী। বন্ধুত্বের নামে এই আধিপত্যবাদী ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান। এধরনের বক্তব্যের প্রতিবাদ না করা আমাদের জন্য চরম লজ্জার। সরকার ভারতের তাঁবেদারি করে দেশের মান মর্যাদা জলাঞ্জলি দিচ্ছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে পেশাজীবী সংগঠন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বগুড়ার নন্দিগ্রাম উপজেলা শাখা আয়োজিত ওলামা সম্মেলন ও ইসলাহী মজলিসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওলামা সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ। বক্তব্য রাখেন বরেণ্য আলেম মাওলানা আব্দুল মতিন, মাওলানা আব্দুল হান্নান, হাফেজ মাওলানা সুলাইমান, মুফতী মতিউর রহমান, মুফতী নাজমুল হক, মাওলানা ইসমাইল হোসাইন। ইসলামী আন্দোলনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ইসলাম, দেশ ও মানবতার চরম ক্রান্তিকাল চলছে। ইসলামবিদ্বেষী চক্রগুলো বিভিন্নভাবে ইসলামকে কলঙ্কিত করতে একসাথে কাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় নড়াইলের লোহাগাড়ায় কলেজ ছাত্র কর্তৃক ফেসবুকে মহানবী (সা.) কে অবমাননা করে স্টেটাস দেয়া এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা করে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে অনন্য দৃস্টান্তকারী বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা বহির্বিশ্বে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। ষড়যন্ত্রকারীরা নড়াইলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে কাপুরুষোচিত মানবতাবিরোধী হামলার ঘটনা ঘটিয়ে চলমান সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চক্রান্ত করছে। এ ধরণের হামলা ও ভাঙচুর কোনভাবেই ইসলাম সমর্থন করে না। এটা ইসলামের সার্বজনীন আদর্শবিরোধী কাজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।