গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে তাদের টিকে থাকার আর কোন সম্ভাবনা নেই, তাই তারা আবোল-তাবল বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, মেট্রিক পরীক্ষা দেওয়ার আগে আমরা টেস্ট পরীক্ষা দিতাম, ফাইনাল পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষা দিতে হয়। ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়া লাগবে না টেস্ট পরীক্ষায় শেখ হাসিনার গদি উল্টে যাবে বাংলাদেশ থেকে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আওয়ামী লীগ নেতার শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যের প্রতিবাদে শনিবার (২৩ জুলাই) নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা রাত জেগে নয়, দিনের বেলায় স্বপ্ন দেখেন এবং আতঙ্কিত হন জনগণের উত্তাল প্রবাহের মধ্যে নেতৃত্ব দিয়ে তারেক রহমান আসছেন। এই আতঙ্কে তার দিন রাত কাটে বলেই তিনি তার সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতাকর্মীকে নির্দেশ দিয়েছেন জিয়া পরিবার সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলতে। এরা সেই কাজ টুকুই করছে।
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আপনার নেতাকর্মীদের দিয়ে এত কথাই বলান, তারপরেও আপনার সরকার এত আতঙ্কিত কেন? আপনারা বলেন বিরোধী দল বিএনপি নেই তারপরেও আপনাদের টার্গেট বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান কেন? মানুষ যতই অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করুক না কেন সব সময় আতঙ্কে থাকে কখন তার অপরাধ ও কুকীর্তির জন্য তার ওপর শাস্তি ধেয়ে আসে কিনা।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, নির্বাচনকে নিরুদ্দেশে পাঠিয়েছেন। বিরোধী দলশূন্য করার জন্য গুম খুম এর মতো কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তারপরেও আপনাদের আতঙ্ক কাটে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আতঙ্কিত, আপনি ভেবেছেন নিজের মত করে প্রশাসন সাজিয়েছেন আপনার কিছুই হবে না। কিন্তু আমরা চূড়ান্তভাবে দেখেছি বিপদ আসলে কেউ এগিয়ে আসে না। জনগণ যখন রাস্তায় নামবে আপনাদেরকে ধাওয়া করবে তখন আপনার লোকরাই আগে পালাবে তারা কেউ আপনার দিকে এগিয়ে আসবে না।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শোনলাম নতুন একটা জিনিস আবিষ্কার করেছে কুইকরেন্টাল। এর তাৎপর্য ও পদ্ধতি আমরা পরে বুঝতে পারলাম। এটা এমন একটা পদ্ধতি যেটার মাধ্যমে নিজের আত্মীয়-স্বজনদেরকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। এই খাতে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। এই টাকা কারা পেয়েছে? সব আওয়ামী লীগের আত্মীয়-স্বজন। আওয়ামী লীগের এমপি নেতা না হলে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন। যদি তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন নাও করে তাহলে তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে না। এই খাতে জনগণের পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে। এই ক্যাপাসিটি চার্চে জনগণের ৫০ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোন বিদ্যুৎ পায়নি। তাহলে আমরা কোন লুটেদের জগতে বাস করছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। কেউ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। শান্তিতে বসবাস করতে পারবেও না যতদিন শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে আছে। চারদিকে আতঙ্ক বিরাজ করবে কারণ মানুষের কোন মৌলিক অধিকার নেই। সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকারকে তারা বন্দী করে রেখেছে। ভোট নির্বাচন সবকিছুকে তারা কবরস্থ করেছে। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না। তাই রাজপথেই আমাদেরকে নামতে হবে।
তিনি বলেন, রাজপথে নামলে আমাদেরকে বাধা দিবে এমনকি গুলি করতে পারে। এই গুলিকে বরণ করে রাস্তায় দাঁড়ালে শেখ হাসিনা থাকবে না। কারণ দেখবেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার আপনজনরা আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে। তালগোল পাকিয়ে ফেলছে। প্রধান নির্বাচন কমিশন মন্ত্রীকে বলছে স্যার এই নিয়ে কত কথা বার্তা, আবার বলছে তরবারি ও রাইফেল নিয়ে রাস্তায় নামতে। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ জন বলেই প্রধান নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে। এই যে তালগোল পাকিয়ে ফেলছে, তারা এতেই বুঝতে পেরেছেন তারা এমন একটা পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে তাদের টিকে থাকার আর কোন সম্ভাবনা নেই।
রিজভী বলেন, তারা আর একটা ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করবে। দেশের জনগণ, ভোটার ছাড়া আর একটা নির্বাচন করার চেষ্টা করবে। সেইজন্যে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছেন। কিন্তু অবৈধভাবে, নিজের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কাউকে নিয়োগ দেন তাহলে সে তালগোল পাকাবেনই। তবে তাকে দিয়ে আর কোন কাজ করাতে পারবেন না। কারণ একদিকে জনগণ অন্যদিকে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা যারা জনগণের বিরুদ্ধে যাবে তারা তালগোল পাকাবেই টিকে থাকতে পারবে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাস এর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, যুগ্ম সম্পাদক শাম্মী আক্তার, শিক্ষাবিষায়ক সম্পাদক এড মিনা বেগম মিনি, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলাদলের সহসভাপতি নায়েবা ইউসুফ, দক্ষিণের সভাপতি রুমা আক্তার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।