যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
মশার উপদ্রবের কারণে স্বাভাবিক কাজ-কর্ম করাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে অনেকের জন্য। কামড়ানোর পর সেই স্থানে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি পর্যন্ত হলেও বিপদ ছিল না, কিন্তু এই ক্ষুদ্র পতঙ্গ আপনার জন্য ডেকে আনতে পারে মারাত্মক সব অসুখ। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়ার মতো অসুখের কারণ এই মশা। বেশিরভাগ মানুষই ঘর থেকে মশা তাড়ানোর উপায় জানতে চান। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সহজ কিছু উপায়-
চা-পাতা পোড়ানো
চা বানিয়ে খাওয়ার পর ব্যবহৃত চা পাতা ফেলে দেবেন না। এগুলো ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর মশা দূর করার জন্য এই শুকনো চা পাতা ধুনোর বদলে ব্যবহার করুন। শুকনো চা পাতা পোড়ালে তার ধোঁয়ায় ঘরের সব মশা, মাছি দূর হবে। কারণ মশা এই ধরনের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না।
ফ্যান চালিয়ে রাখুন
মশা খুবই হালকা ধরনের পতঙ্গ। এদিকে ফ্যানের স্পীড থাকে ঘণ্টায় দুই কিলোমিটারেরও বেশি। তাই মশার ওড়ার গতির চেয়ে ফ্যানের ঘূর্ণনের গতি বেশি। যে কারণে ফ্যান চালু রাখলে তা সহজেই ব্লেডের কাছে মশাকে টেনে নিতে পারে। যেসব স্থানে মশা বেশি, সেখানে ফ্যান চালু রাখতে পারেন। এতে মশার হাত থেকে বাঁচা সহজ হবে। মশার কামড় থেকে বাঁচতে এই কাজ করতে পারেন।
নিমপাতা পোড়ানো
নিমপাতার রয়েছে অনেক উপকারিতা। এটি বিভিন্ন ধরনের অসুখ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এই নিমপাতা কিন্তু মশা তাড়াতেও সমান কার্যকরী। আপনি বাড়িতে যদি কয়লা বা কাঠ-কয়লার আগুনে নিমপাতা পোড়ান তবে তার ধোঁয়া মশা তাড়াতে কাজ করবে। তাই নিমপাতা শুকিয়ে বাড়িতে রাখতে পারেন।
কর্পূরের ব্যবহার করুন
কর্পূরের গন্ধ মশাদের খুবই অপ্রিয়। যেকোনো ফার্মেসিতে আপনি কর্পূরের ট্যাবলেট কিনতে পাবেন। এরপর ৫০ গ্রামের একটি কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করে নেবেন। এটি ঘরের এক কোণে রেখে দিন। এতে মশা খুব দ্রুত পালাবে। দুই দিন পর পর পানি ও ট্যাবলেট পরিবর্তন করে দেবেন। আগের পানিটুকু দিয়ে ঘর মুছলে দূর হবে পিঁপড়াও।
রসুনের স্প্রে ব্যবহার করুন
মশা দূর করতে অন্যতম কার্যকরী হলো রসুনের স্প্রে। একটি পাত্রে ৫ ভাগ পানি ও ১ ভাগ রসুনের রস মেশান। মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। শরীরের যেসব স্থানে মশা কামড়াতে পারে সেখানে স্প্রে করুন। এতে মশা আপনার কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
নারিকেলের আঁশ পোড়ানো
মশা দূর করার জন্য নারিকেলের খোসার আঁশ পোড়াতে পারেন। সেজন্য নারিকেলের শুকনো আঁশ নিন এক টুকরো। এরপর সেটি একটি কাঁঠের পাত্রে রেখে ম্যাচের কাঠি ধরিয়ে নিন। এতে সৃষ্ট ধোঁয়ায় মশা দূর হবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই।
পুদিনা পাতার ব্যবহার করুন
একটি ছোট গ্লাসে অল্প পানি নিন। এরপর তাতে ৫ থেকে ৬ গাছি পুদিনা রেখে দিন খাবার টেবিলে। ৩ দিন পর পর পানি বদলে দেবেন। জার্নাল অফ বায়োরিসোর্স টেকনোলোজির গবেষণা মতে, তুলসির মতো পুদিনা পাতারও রয়েছে মশা দূর করার ক্ষমতা। পুদিনার গন্ধ মশা ছাড়াও অনেক ধরণের পোকামাকড়কে ঘর থেকে দূরে রাখে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।