Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বর্ণ লুটপাটে অভিযুক্ত এএসআই কারাগারে ব্যক্তির দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০৩ এএম

রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকায় স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রূপনগর থানার সহকারী এএসআই জাহিদুল ইসলাম এখন কারাগারে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো পুলিশ সদস্যের দায় বাহিনী নেয় না। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর সদরঘাট ও মেরাদিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন মো. সোহেল আহম্মেদ পল্লব (৪৮), মো. পলাশ শেখ (৩৪), মো. মাসুদ রানা (৪৬) ও রবিন হালদার পরেশ (৫০)। তাদের কাছ থেকে লুট করা স্বর্ণালঙ্কারসহ বিক্রয়লব্ধ পাঁচ লাখ টাকা ও আনুমানিক ২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, ভিকটিম টিটু প্রধানীয়া তাঁতী বাজারের ধানসিঁড়ি চেইন অ্যান্ড বল হাউজ নামক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী। সো দেশের বিভিন্ন জুয়েলারি দোকানে স্বর্ণ ডেলিভারি দেন।
গত ১৭ জুলাই ভোরে স্বর্ণের গহনা নিয়ে টাঙ্গাইল যাবার জন্য গাবতলী বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত ব্যক্তি নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্যাগে ৩৮ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণের তৈরি বল চেইন, চেইন, ঝুমকা, বল ঝুমকা, লকেট, আংটি ও রিসলেট আছে বলে জানান। তখন আরও অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন লোক এসে জোরপূর্বক স্বর্ণালঙ্কারের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে ওই ব্যবসায়ীকে একটি মোটরসাইকেলে করে বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে কিছুক্ষণ আটকে রাখার পর একটি সিএনজিতে উঠিয়ে বিজয় সরণি মোড়ে সিএনজিটি থামলে ভিকটিমকে রেখে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা দ্রæত পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। এ ঘটনার সঙ্গে রূপনগর থানার একজন এএসআইয়ের সম্পৃক্ততা নিয়ে হারুন বলেন, আইন সবার জন্য সমান। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। দুই লাখের ওপরে পুলিশ বাহিনী। কোনো ব্যক্তির দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। যদি ডাকাতিতে কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকে, তাহলে তার শাস্তি সে পাবে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজনের জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ