মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বরিস জনসন পরবর্তী ব্রিটেনের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে আছেন তিনি। ইতিমধ্যে পার করেছেন দ্বিতীয় রাউন্ডের গণ্ডিও। কিন্তু তারই মধ্যে অস্বস্তি বাড়ল ঋষি সুনকের। আর এই চাপ তৈরি হয়েছে নিজের প্রচার ব্যানারে ‘CAMPAIGN’ শব্দটি ভুল লেখার জন্য।
কী লিখেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঋষি সুনক? প্রচার ব্যানারে ‘CAMPAIGN’-এর বানান লেখা ছিল ‘CAMPIAGN‘। আর এটা সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। সম্ভাব্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই বানানবিধি নিয়ে নেটিজেনদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ঋষি সুনককে 'বানান পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত' হতে বলে একটি কটাক্ষের পোষ্ট করেন এক টুইটার ব্যবহারকারী।
এদিকে, জনসন-পরবর্তী ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছেন দ্বিতীয় রাউন্ডের গণ্ডি পার করে। প্রথম রাউন্ডের জনসন মন্ত্রিসভার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কনজারভেটিভ পার্টির এক চতুর্থাংশ ভোট পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে পেয়েছেন তিন অঙ্কের বেশি ভোট। প্রধানমন্ত্রী পদের লড়াইয়ে ঋষি ছাড়াও তিনজন বর্তমান ও প্রাক্তন মন্ত্রী রয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে ‘CAMPIAGN‘-এর ভুল বানান নিয়ে সুনকের উপর চাপ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। আর এটা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী রাউন্ডে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা। কেননা, ইতিমধ্যে ঋষিকে কিছুতেই পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মানকে রাজি নন বরিস জনসন। ঋষি প্রধানমন্ত্রী হতে যাতে না পারেন, তারজন্য জনসন ঘনিষ্টদের চেষ্টার ক্রুটি নেই বলে জানা গেছে।
ক্রিস পিনচার ইস্যুতেই দলের অন্দরে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন পদত্যাগী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস। আর এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ঋষি সুনক ছিলেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জনসনকে সরাতে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে চাপ তৈরি করে সুনক। তারপরই একে একে একাধিক মন্ত্রী জনসন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন এবং শেষে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন বরিস জনসন। এটা ভালো মনে মেনে নিতে পারেননি তিনি। এটাই ঋষির উপর বরিসের রাগ হওয়ার প্রধান কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ। এই অবস্থায় বানান ভুল, ঋষিকে সরাতে জনসন শিবিরতে বাড়িতে অক্সিজেন দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
১৯৮০ সালে ১২ মে সাউথহ্যাম্পটনে জন্মগ্রহণ করেন ঋষি সুনক। ঋষির দাদা-দাদির জন্মেছিলেন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে। এরপর তারা পূর্ব আফ্রিকায় চলে যায়। সেখানে থেকে ১৯৬০ সালে পাকাপাকিভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে করেন। ২০০৯ সালে সুনক ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এন আর নারায়ণমূর্তির মেয়ে অক্ষতাকে বিয়ে করেন। অক্ষতা আবার ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সনও। সূত্র : এই সময়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।