পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করতে চলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও তুরস্ক। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েকটি খাতে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিয়েছে দেশ দুটি। সম্প্রতি ইউএইর শিল্প ও আধুনিক প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর সুলতান আল জাবের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর দ্য ন্যাশনাল। এক বিবৃতিতে ইউএইর শিল্প ও আধুনিক প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানায়, তুরস্কের সাথে একজোট হয়ে দেশটি গ্যাস, জ্বালানি, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্বাস্থ্য সেবা, জৈব প্রযুক্তি, কৃষি প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, লজিস্টিকস, ডিজিটাল যোগাযোগ, ইকমার্স ও আর্থিক পরিষেবা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াবে। এ উপলক্ষে দুদিনের সফর করেন ডক্টর সুলতান আল জাবের। তিনি বলেন, তুরস্কে বিনিয়োগ বাড়াতে আমরা আগ্রহী। পাশাপাশি ইউএইতে শিল্প বিনিয়োগের জন্য আমরা পরস্পর অংশীদারত্বও বাড়াতে চাই। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য প্রজেকটস অব দ্য ফিফটি নামে প্রকল্প নিয়েছে ইউএই। বহু কৌশলগত প্রকল্পের আওতাভুক্ত। এ বিষয়ে সুলতান আল জাবের বলেন, ইউএই ও তুরস্কের এ অংশীদারত্বের সুযোগ নিতে দুই দেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে আমরা আহ্বান জানাই। যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে জ্বালানি, শিল্প ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত হবে। এতে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি তুরস্ক ও ইউএইর মধ্যে ১৩টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এছাড়া দেশ দুটির মধ্যে মুদ্রা বিনিময় চুক্তিও স্বাক্ষর হয়। মূলত তুরস্কের সাথে পরস্পর সহযোগিতা বাড়াতেই ইউএই মন্ত্রীর দুদিনের এ সফর ছিল। গত বছরের নভেম্বরে তুরস্কে বিনিয়োগ সহযোগিতার জন্য ১ হাজার কোটি ডলারের তহবিল হঠন করে ইউএই। এ বিষয়ে ইউএইর শিল্প ও আধুনিক প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানায়, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে দুই দেশেরই স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। পাশাপাশি বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে দুই দেশেই। আরব বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ইউএই। এরই মধ্যে দেশটি মোট ১১টি খাতজুড়ে ১১ হাজার কোটি দিরহাম (৩ হাজার কোটি ডলার) শিল্প বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বাণিজ্য ও প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী দেশটি। এ বিষয়ে সুলতান আল জাবের বলেন, প্রচলিত ও নবায়নযোগ্য উভয় জ্বালানি খাতের নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে আছে ইউএই। এছাড়া পেট্রোকেমিক্যাল, ধাতু, প্রতিরক্ষা এবং খাদ্য ও পানীয় খাতেও এগিয়ে আছে দেশটি। জ্বালানি, শিল্প ও আধুনিক প্রযুক্তি খাতে তুরস্কের সহযোগিতার মাধ্যমে যৌথ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি জোরদার হওয়ার ইঙ্গিত মেলে। ন্যাশনাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।