বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের ৫ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছেন বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। গতকাল রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব প্রস্তাবনা পেশ করেন। প্রস্তাবনাগুলো হলোÑ সংবিধান অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত একটি আইনি কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে। সেখানে নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাখার বিধান রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশনের জন্য আলাদা সচিবালয় থাকতে হবে। বর্তমান সংসদেই এ আইন পাস করতে হবে। নির্বাচন কমিশনারদের যেসব যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে তা হচ্ছেÑ নিরপেক্ষতা, ব্যক্তিগত একাগ্রতা ও সততা, ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়স, পেশাগত যোগ্যতা, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়জ্ঞান, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা, রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় নয়, অন্য অফিসে নিয়োগে বিধি-নিষেধ ও চারিত্রিক স্বচ্ছতা। এরশাদ দাবি করেন তার এসব প্রস্তাবনা অনুসরণ করা হলে দেশে বিতর্কমুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব।
এরশাদ ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, সংবিধানে প্রধান নির্বাচন কমিশন নিয়োগে আইনের কথা বলা হলেও বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। এত দিন পর্যন্ত এ আইন প্রণয়ন করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। নিয়োগ প্রক্রিয়া কেমন হবে এ বিষয়ে নীতিমালা প্রদানের কোনো বিধান নেই। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ এই দূত ভারত, আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে ইসি গঠনের পদ্ধতির কথা তুলে ধরে বলেন, উন্মুক্ত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে, সংসদ বা আইন সভার মাধ্যমে, নির্বাহী প্রধানের মাধ্যমে (যেমনÑ প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপ্রধানের মাধ্যমে), বিচার বিভাগের মাধ্যমে, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে, রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে ও একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইসি নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, দলের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুস সাত্তার, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা এমপি, জিয়াউদ্দিন বাবলু এমপি, মীর আবদুস সবুর আসুদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।